তিন সাবেক নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ নতুন অভিযোগ যুক্ত, মামলার আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও

বিএনপির দায়ের করা মামলায় সাবেক তিন নির্বাচন কমিশনার ও একাধিক সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ যুক্ত হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামিদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনজন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার—কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, এ কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল, পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সময়ের অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররাও রয়েছেন।

বুধবার (২৫ জুন) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শামসুজ্জোহা সরকার আদালতে এসব নতুন অভিযোগ যুক্ত করার আবেদন করলে মহানগর হাকিম তা অনুমোদন করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মামলাটিতে আগেই উচ্চপর্যায়ের কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাকেও অভিযুক্ত করা হয়েছিল।

বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ২০১৪, ২০১৮ এবং সর্বশেষ ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরিকল্পিতভাবে ভয়ভীতি, গুম, বিচারবহির্ভূত গ্রেপ্তার এবং প্রশাসনকে ব্যবহার করে ভোটবিহীন নির্বাচন আয়োজন করা হয়েছে। এতে সংবিধান লঙ্ঘনের পাশাপাশি জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠে।

এরই মধ্যে মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, হাইকোর্টের একটি রায়ে পঞ্চদশ সংশোধনী আংশিক বাতিল করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা আবারও তুলে ধরা হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণে তিনটি নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়, যা এ মামলার পটভূমিকে আরও জোরালো করেছে।

সংশ্লিষ্ট রায়ের ভিত্তিতে সরকার প্রধানের দপ্তর থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে ২০১৪ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভূমিকা পর্যালোচনা করা হয়।

এই মামলা এবং চলমান তদন্ত বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে, যেখানে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে ফের বিতর্ক দানা বাঁধছে।