২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুই মামলায় হাইকোর্টের রায়ে খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তবে এসব মামলায় খালাস পেলেও এখনো চারটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অবস্থায় আছেন তিনি। তাঁর আইনজীবীরা আশা করছেন, বাকি মামলাগুলোতেও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে।
তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল জানান, ২১ আগস্টের মামলায় ন্যায়বিচার পাওয়ার পরে তারেক রহমান আরও চারটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত থাকলেও সেখানেও তিনি সুবিচার পাবেন বলে আশাবাদী।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে। ঢাকার একটি জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত এই মামলায় তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দেন। পলাতক থাকায় তারেক রহমান এই মামলায় আপিল করতে পারেননি।
দ্বিতীয় মামলা সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারসংক্রান্ত। একটি বিশেষ আদালত তাঁকে খালাস দিলেও হাইকোর্ট পরে সেই রায় বাতিল করে ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন।
তৃতীয় মামলা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা। এই মামলায় তারেক রহমানের ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। একই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হন তাঁর মা, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াও।
চতুর্থ মামলা নড়াইলের একটি আদালতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের কারণে দায়ের করা মানহানির অভিযোগ। ২০১৪ সালে লন্ডনে একটি সমাবেশে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা এ মামলায় তারেক রহমানকে ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
তবে সিলেটে দায়েরকৃত দুটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় খালাস পেয়েছেন তারেক রহমান। বাদীপক্ষের অনুপস্থিতির কারণে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এ মামলাগুলো খারিজ করে দেন।
আইনজীবীরা মনে করছেন, সাজাপ্রাপ্ত এই চারটি মামলার যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় মীমাংসা না হলে তারেক রহমানের দেশে ফেরা কঠিন হবে। অন্যদিকে, বিএনপি নেতৃত্বের দাবি, এসব মামলা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাদের নেতাকে হয়রানির জন্যই করা হয়েছে।