তারেক-ইউনূস বৈঠক ‘গেম ওভার মুহূর্ত’, বললেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠককে ‘ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য কফিনে শেষ পেরেক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শুক্রবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই মন্তব্য করেন।
শফিকুল আলম লিখেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি ছিল ঐতিহাসিক। এটি ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য ‘গেম ওভার মুহূর্ত’, অর্থাৎ কফিনে শেষ পেরেক।”
প্রেস সচিবের ভাষ্য অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য সফরে অধ্যাপক ইউনূসের অর্জনও তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি ব্রিটিশ রাজা চার্লসের কাছ থেকে মর্যাদাপূর্ণ একটি পুরস্কার গ্রহণ করেছেন এবং রাজা চার্লসের সঙ্গে একান্তে ৩০ মিনিট সময় কাটিয়েছেন। শফিকুল আলম বলেন, “এটি ‘জুলাই বিপ্লব’ এবং গত বছরের জুলাই থেকে বাংলাদেশে সংঘটিত যুগান্তকারী পরিবর্তনের একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।”
এছাড়া, তিনি দাবি করেন যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একজন শীর্ষ সহযোগীর ৩২০টি সম্পত্তি জব্দ করেছে, যার মূল্য প্রায় ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এনসিএ কর্মকর্তারা একে সংস্থাটির ইতিহাসে এককভাবে সম্পত্তি জব্দের সবচেয়ে বড় ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন বলে জানান শফিকুল।
তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা, রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের জন্য একটি কড়া বার্তা, এবং এটি অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পদ পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টার বড় অগ্রগতি।
তিনি আরও জানান, সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, দুদক চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ব্রিটিশ মন্ত্রী, আইনপ্রণেতা ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেছেন, যা ভবিষ্যতে সম্পদ পুনরুদ্ধারে গভীরতর আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ভিত্তি গড়ে দেবে।
শফিকুল আলম তাঁর পোস্টের শেষে বলেন, “আশা করি আমরা এই অভিজ্ঞতা বিশ্বব্যাপী কাজে লাগাতে পারব।” পাশাপাশি, রোহিঙ্গা সংকট নিয়েও এই সফরে আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।