ঢেঁড়সের পানিতে লেবুর যোগফলে তৈরি এই শক্তিশালী ডিটক্স পানীয়টি নানা স্বাস্থ্য উপকারে ভরপুর। এটি ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ, যা শরীরের বিভিন্ন সমস্যা মোকাবিলায় সহায়ক।
১. হজমশক্তি উন্নত করা:
ঢেঁড়সে থাকা দ্রবণীয় ফাইবার প্রাকৃতিক রেচক হিসেবে কাজ করে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করে। লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড পাচক এনজাইমগুলোকে উদ্দীপিত করে, যার ফলে হজম সহজ হয়।
২. ওজন কমানোর সহায়ক:
ঢেঁড়সে ক্যালোরি কম, কিন্তু ফাইবার বেশি, যা পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়। ঢেঁড়সের পেকটিন চিনির শোষণ ধীর করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, ফলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। লেবু বিপাক-বৃদ্ধিকারী বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন, যা চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে।
৩. রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণ:
এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ঢেঁড়সে থাকা যৌগগুলো চিনির শোষণ কমাতে সাহায্য করে এবং গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ঢেঁড়স এবং লেবুর সংমিশ্রণ ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করতে সহায়ক।
৪. হাড়ের স্বাস্থ্য:
ঢেঁড়স ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন কে সমৃদ্ধ, যা হাড়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি হাড়ের খনিজকরণ এবং শক্তি বজায় রাখে, ফলে হাড়-সম্পর্কিত রোগের ঝুঁকি কমায়।
৫. কিডনি পরিষ্কার রাখা:
এই পানীয়টি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে কিডনির জন্য উপকারী। ঢেঁড়সে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রদাহ-বিরোধী গুণ রয়েছে, যা কিডনির আঘাত প্রতিরোধে সহায়তা করে। লেবু প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে এবং কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ করে।
৬. ত্বকের সুস্থতা:
ঢেঁড়সের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং লেবুর ভিটামিন সি ত্বককে পরিষ্কার, উজ্জ্বল এবং হাইড্রেটেড রাখে। এটি ত্বকের বলিরেখা কমাতে এবং কোলাজেন উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক।
৭. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা:
ঢেঁড়স এবং লেবুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়তা করে, ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।
প্রস্তুত প্রণালী:
৪-৫টি ঢেঁড়স ভালো করে ধুয়ে ছোট টুকরা করে কেটে এক গ্লাস পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে লেবুর রস মিশিয়ে খান। তবে প্রথমে অল্প পরিমাণে খেয়ে দেখুন, ধীরে ধীরে পরিমাণ বাড়ান।
এই পানীয়টি নিয়মিত পান করলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।