ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রোববার রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় ২২ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ছাড়াও আহত হয়েছেন পথচারী ও সাংবাদিক। আহতদের মধ্যে তিনজন এখনো ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি ১৯ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
আহতদের মধ্যে উজ্জ্বল (৩০), সাইদ মুন্সি (২২) ও রাকিব (২৪) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। অন্যরা, রিপন চৌধুরী, ইরফান (২০), পথচারী উজ্জ্বল (৩২), আশরাফ (২০), মেহেদি (২৩), ফয়সাল আহমেদ (২২), সাদ (২২), হৃদয় (২৩), মাহিন (২২), ইসমাইল, ইমতিয়াজ, তোফায়েল আহমেদ (সাংবাদিক বাংলাদেশ টাইমস), ইব্রাহিম (২৩), রিশাদ (২৩), মিরাজ (২৩), আমানুল্লাহ (২২), হিমু (২৩), সাব্বির হোসেন (২৪) ও রাকিব (২৪) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন, তবে তিনজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
রোববার রাতে নীলক্ষেত মোড় এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।
এ ঘটনায় পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করেছে বলে অভিযোগ তুলে, হামলায় জড়িত সবার বিচার দাবি করে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা আজ সকাল ৯টা থেকে কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে তারা অবরোধ কর্মসূচির পরিবর্তে ৬ দফা দাবি নিয়ে ৪ ঘণ্টার মধ্যে তা পূরণ করার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আজ ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করেছে, এবং সাত কলেজের আজকের সব চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
তাদের ৬ দফা দাবিগুলো হলো: ১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘাতের দায় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্ষমা চেয়ে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদকে পদত্যাগ করতে হবে। ২. ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী রাকিবকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলাসহ ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার করতে হবে। ৩. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কর্তৃক সাত কলেজের নারী শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও অশালীন অঙ্গভঙ্গির জন্য বিচারের আওতায় আনতে হবে। ৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাত কলেজের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সম্পর্ক চূড়ান্তভাবে শেষ করতে হবে এবং স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে। ৫. পরিস্থিতি সমাধানের জন্য উচ্চপর্যায়ের মিটিং করতে হবে। ৬. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-সংশ্লিষ্ট এলাকার রাস্তা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে।