ঢাবিতে ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে ধর্ষণবিরোধী মঞ্চের মশাল মিছিল
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘ধর্ষণবিরোধী মঞ্চ’ এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিলের আয়োজন করেন, যা ক্যাম্পাসজুড়ে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক হয়ে উঠেছে।
রবিবার রাতে ঢাবির বিভিন্ন হলের কয়েকশ শিক্ষার্থী রাজু ভাস্কর্যের সামনে জমায়েত হন। সেখানে থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে, আসিয়া আসিয়া’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘হ্যাং দ্য রেপিস্ট’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন, যা তাদের ক্ষোভ ও প্রতিবাদের প্রতিফলন বহন করে।
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে রাস্তায় নেমেছেন।
মশাল মিছিলের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিম্নলিখিত দাবিগুলো তুলে ধরেন:
দ্রুত বিচার: ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনাগুলোর দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।
সর্বোচ্চ শাস্তি: দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ কমে আসে।
সচেতনতা বৃদ্ধি: সমাজে নারী অধিকার ও নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
ঢাবির পাশাপাশি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরাও একই দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। তারা অভিযুক্তদের দ্রুত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকরের দাবি জানান।
শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন সমাজের বিভিন্ন স্তরে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকেই তাদের সাহসিকতা ও উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই মিছিলের ছবি ও ভিডিও ব্যাপকভাবে শেয়ার হয়েছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করেছে।
এখনও পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে এই মিছিল সম্পর্কে সরাসরি কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে, শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আশা করছেন সবাই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই মশাল মিছিল দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি প্রমাণ করে যে, তরুণ প্রজন্ম সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে একত্রিত হতে প্রস্তুত। এই ধরনের উদ্যোগ সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করবে বলে আশা করা যায়।