ঢাকার রামচন্দ্রপুর খাল টেকসই পরিচ্ছন্নকরণে উদ্যোগ, স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করার গুরুত্ব
পানি সম্পদ ও পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, ঢাকার রামচন্দ্রপুর খাল টেকসইভাবে পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই খালটি এলাকায় প্রাণের উৎস হিসেবে কাজ করে, তাই এটি বাঁচানো জরুরি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মনুষ্যবর্জ্যের কারণে খালটি চরম দূষিত হয়ে পড়েছিল। এখন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহযোগিতায় খাল পরিচ্ছন্ন ও দূষণমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই পরিচ্ছন্নতার ফলে খালে পরিষ্কার পানি প্রবাহিত হবে।
উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান আজ ঢাকার আদাবরে রামচন্দ্রপুর খাল পরিচ্ছন্নকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন, এই কাজটি টেকসই করার জন্য একটি বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। আগামী এক বছর অন্তত স্থানীয় মানুষদের সম্পৃক্ত করে এই কাজ চালিয়ে যেতে হবে যাতে তারা খালের সঠিক রূপ দেখে সেটি রক্ষায় আগ্রহী হয়। তিনি বলেন, যদি স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত না করা হয় তাহলে প্রকল্প টেকসই হবে না।
তিনি আরও জানান, খালের পাশ্ববর্তী এলাকায় বাসা-বাড়ির বর্জ্য ফেলা বন্ধ রাখতে হবে এবং এজন্য স্থানীয় জনগণকে ডাস্টবিন প্রদান করা হয়েছে যেন তারা ডাস্টবিনে ময়লা ফেলে। রিজওয়ানা হাসান উল্লেখ করেন, রামচন্দ্রপুর ও সুভাঢ্যা খাল দুটি পরিষ্কার ও দূষণমুক্ত করার কাজ ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং এ ক্ষেত্রে জনগণের সচেতনতা অত্যন্ত প্রয়োজন।
উপদেষ্টা বলেন, “আপনি যদি খালে বর্জ্য ফেলেন, তাহলে খাল দূষিত হবে। এখন থেকে এ ধরনের কাজ বন্ধ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, রামচন্দ্রপুর খালকে বাঁচাতে হলে পাড় বাঁধাই, খনন, বর্জ্য ও পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সৌন্দর্যবর্ধনসহ একটি সমন্বিত প্রকল্প নিতে হবে।
এসময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, আইডিএলসির আর্থিক সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ফুটস্টেপ রামচন্দ্রপুর খালের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা করছে, যেখানে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এক্সেবেটর ও লজিস্টিকস সহযোগিতা প্রদান করছে।