সরকার সংস্কার কমিশনগুলোর সুপারিশ পর্যালোচনা ও বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’ গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। এই কমিশনের সভাপতি করা হয়েছে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে, আর সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই কমিশনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই কমিশন গঠন করা হয়েছে।
কমিশনের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন—জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করবে। এর মূল লক্ষ্য হবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সংবিধান, প্রশাসন, বিচার বিভাগ, নির্বাচন ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং দুর্নীতি দমন বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব পর্যালোচনা ও গ্রহণ করা।
এ লক্ষ্যে কমিশন রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের পদক্ষেপ সুপারিশ করবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, কমিশনের কার্যালয় সরকার নির্ধারিত স্থানে স্থাপন করা হবে এবং এর কার্যকাল হবে ছয় মাস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এই কমিশনের জন্য প্রশাসনিক সহায়তা দেওয়া হবে।
এই কমিশন গঠনের মাধ্যমে দেশব্যাপী সংস্কার কার্যক্রমের গতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে রাজনৈতিক মহলে এটি কীভাবে গৃহীত হবে এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কতটুকু কার্যকর হবে, তা এখনো দেখার বিষয়।