ড্রোন হামলার জবাবে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে পুতিন, হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের

ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ড্রোন হামলার প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নিতে পারেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ টেলিফোন আলাপের পর এ বিষয়ে তাকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, ইউক্রেনের বিমানঘাঁটিতে হামলার জবাব দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ট্রাম্প বলেন, “পুতিন খুব জোর দিয়ে জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের হামলার জবাব দেওয়া হবে।” যদিও রুশ কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিকভাবে এ মন্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেননি, তবে মস্কো আগে থেকেই বলে আসছিল— ইউক্রেনের এমন হামলার প্রতিক্রিয়ায় সামরিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই নেতার ফোনালাপ চলে এক ঘণ্টারও বেশি সময়। আলোচনায় শান্তি প্রতিষ্ঠার তাত্ক্ষণিক কোনো সম্ভাবনা নেই বলেও মন্তব্য করেন ট্রাম্প। এরই মধ্যে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা আরআইএ নভোস্তি জানিয়েছে, ফোনালাপে পুতিন ইউক্রেনকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং দাবি করেন, কিয়েভ ইচ্ছাকৃতভাবে শান্তি আলোচনায় বাধা সৃষ্টি করছে।

ফোনালাপে পুতিন ও ট্রাম্প দুই দেশ আবারও পারস্পরিক সহযোগিতার সুযোগ খুঁজে দেখার ইঙ্গিত দেন এবং উভয় দেশকে ‘বিশাল সম্ভাবনাময়’ বলেও বর্ণনা করেন।

১ জুন ইউক্রেন রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালায়। সেখানে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম রুশ বোমারু বিমান ছিল বলে জানানো হয়। এই হামলার পরই পুতিন-ট্রাম্পের এই ফোনালাপ ঘটে।

রুশ প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, ট্রাম্প ফোনে পুতিনকে বলেছেন, ড্রোন হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্র কিছুই জানত না। অন্যদিকে, ইউক্রেনের কৌশলগত শিল্পমন্ত্রী ইউরি সাক বিবিসি রেডিও ৪-এ এক সাক্ষাৎকারে জানান, রাশিয়ার লাগাতার ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাশা করেছিলেন।

এর আগে ২৬ মে ট্রাম্প বলেছিলেন, “পুতিন একেবারে পাগল হয়ে গেছেন” এবং তিনি “আগুন নিয়ে খেলছেন।” সেসময় রাশিয়া ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে বহু বেসামরিক মানুষ হত্যা করেছিল। তখন ট্রাম্প বলেছিলেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে পুতিন যদি শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি না দেখান, তবে যুক্তরাষ্ট্র তার অবস্থান পুনর্বিবেচনা করতে পারে। তবে সাম্প্রতিক পোস্টে ট্রাম্প সে সময়সীমা বা আগের কোনো মন্তব্যের বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি।