ডিমের কুসুম: পুষ্টির শক্তিশালী উৎস না অতিরিক্ত চর্বি?
অনেকেই উচ্চ কোলেস্টেরল এবং চর্বির কারণে ডিমের কুসুম এড়িয়ে চলেন, তবে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি পুষ্টির এক শক্তিশালী উৎস। ডিমের সাদা অংশ মূলত পানি এবং প্রোটিন দিয়ে গঠিত হলেও, কুসুমে থাকে শরীরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রায় সব পুষ্টি উপাদান।
ডিমের কুসুমে ভিটামিন এ, ডি, ই, বি১২ এবং কে থাকে, যা ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এটি হাড় মজবুত রাখে এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। ফসফরাস, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম ও আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপাদানও এতে বিদ্যমান, যা হাড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সাহায্য করে।
এছাড়া, ডিমের কুসুমে রয়েছে স্বাস্থ্যকর চর্বি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী। কুসুমের রঙ মুরগির খাদ্যাভ্যাসের ওপর নির্ভর করে, তবে রঙের সঙ্গে পুষ্টিগুণের কোনো সম্পর্ক নেই।
ডিমের কুসুম কোলিনের সমৃদ্ধ উৎস, যা লিভারের কার্যকারিতা, মস্তিষ্কের বিকাশ এবং পেশী গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় এবং শৈশবে এটি মস্তিষ্কের উন্নয়নে সহায়তা করে। এছাড়া, এতে থাকা লুটেইন ও জেক্সানথিন চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ত্বকের জন্যও ডিমের কুসুম উপকারী, কারণ এতে থাকা চর্বি ও ভিটামিন ত্বককে হাইড্রেট রাখে এবং আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ ত্বকের কোষ পুনর্জন্মে সাহায্য করে এবং দাগ কমায়।
সুতরাং, সঠিক পরিমাণে ডিমের কুসুম খেলে এটি শরীরের জন্য উপকারী হতে পারে, বিশেষ করে যারা পুষ্টির সর্বোত্তম সুবিধা নিতে চান।