মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫| ভোর ৫:২৩

ডায়াবেটিসে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি

প্রতিবেদক
staffreporter
মে ২৭, ২০২৫ ৬:৪৩ অপরাহ্ণ
ডায়াবেটিসে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি

ডায়াবেটিসে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা। কারণ কিছু খাবার শরীরে দ্রুত গ্লুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, ইনসুলিন প্রতিরোধ গড়ে তোলে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। এ কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট খাবার এড়িয়ে চলা খুবই জরুরি। নিচে সেগুলোর একটি তালিকা দেওয়া হলো—

চিনিযুক্ত পানীয় যেমন কোল্ড ড্রিংকস, এনার্জি ড্রিংকস, মিষ্টি আইসড টি ও ফলের রস রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। এতে ফাইবার ও প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাব থাকে। এসব পানীয়ের পরিবর্তে পানি, ভেষজ চা বা চিনিমুক্ত পানীয় গ্রহণ করা উচিত।

সাদা রুটি, সাদা ভাত ও পাস্তার মতো পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেটে গ্লাইসেমিক সূচক থাকে অনেক বেশি। এগুলো দ্রুত রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় এবং ফাইবারের অভাবে গ্লুকোজ শোষণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়। বিকল্প হিসেবে গমের রুটি, বাদামি চাল কিংবা কুইনোয়ার মতো দানা শস্য খাওয়া উচিত।

ভাজা খাবার যেমন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা ডুবোতেলে ভাজা চিকেন—এসব খাবারে ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে বেশি পরিমাণে, যা ইনসুলিন প্রতিরোধ সৃষ্টি করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই স্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে রান্না, যেমন বেকিং, গ্রিলিং বা এয়ার ফ্রাই করাই ভালো।

প্রক্রিয়াজাত মাংস যেমন সসেজ, হট ডগ বা ডেলি মাংসে অতিরিক্ত সোডিয়াম ও অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের কারণ হতে পারে। এর পরিবর্তে গ্রিল করা মুরগি, মাছ, টোফু বা অন্যান্য চর্বিহীন প্রোটিন বেছে নেওয়া নিরাপদ।

বেকড পণ্য ও প্যাকেটজাত খাবার যেমন কুকি, পেস্ট্রি বা চিপস—এসব খাদ্যে থাকে পরিশোধিত চিনি, সাদা ময়দা ও ট্রান্স ফ্যাট। এগুলো রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় এবং শরীরে প্রদাহ তৈরি করে। বিকল্প হিসেবে বাদাম, টক দই বা তাজা ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

মিষ্টি দইও অনেক সময় বিপজ্জনক হতে পারে। সাধারণত এতে প্রচুর পরিমাণ চিনি থাকে। মিষ্টি দইয়ের পরিবর্তে মিষ্টিহীন টক দই খাওয়া ভালো। চাইলে এর সঙ্গে প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি বাড়াতে তাজা বেরি বা বাদাম যোগ করে খেতে পারেন।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের খাদ্যাভ্যাসে এই সতর্কতা অবলম্বন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও সুস্থ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে সহায়ক হতে পারে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি