ডোনাল্ড ট্রাম্প, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই নিজের নামে ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করেছেন। "$Trump" বা "$ট্রাম্প" নামে এই মিম কয়েন বাজারে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এর বাজারমূল্য প্রায় ৫০৫ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। বিবিসি জানিয়েছে, ক্রিপ্টোকারেন্সির এই চমক সিআইসি ডিজিটাল এলএলসি এবং ফাইট ফাইট ফাইট এলএলসি নামে দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে বাজারে এনেছে।
মিম কয়েন সাধারণত মজার ইন্টারনেট ট্রেন্ড বা ভাইরাল বিষয়বস্তুকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়। যদিও এগুলো কোনো স্থায়ী বিনিয়োগ নয় এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। টোকেনটির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, ২০০ মিলিয়ন কয়েন ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে, এবং তিন বছরে আরও ৮০০ মিলিয়ন কয়েন বাজারে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এই কয়েনকে বিনিয়োগের সুযোগ বা রাজনৈতিক প্রচারণার সঙ্গে সম্পর্কিত নয় বলে ওয়েবসাইটে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে।
সমালোচকরা বলছেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ নিয়ে এ উদ্যোগ থেকে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন। ক্রিপ্টো ভেঞ্চার ক্যাপিটালিস্ট নিক টোমাইনো অভিযোগ করেছেন, ৮০ শতাংশ মালিকানা নিজের কাছে রেখে এবং শপথ গ্রহণের ঠিক আগে এটি চালু করা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি প্রতারণার ফাঁদ হতে পারে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসন ক্রিপ্টোকারেন্সি শিল্পকে সমর্থন দেবে, এমন আশায় বিনিয়োগকারীরা উচ্ছ্বসিত। যদিও এর আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ক্রিপ্টো বাজারের জালিয়াতি এবং মানি লন্ডারিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল।
ট্রাম্পের নিজস্ব ক্রিপ্টো উদ্যোগে তার পরিবারের সম্পৃক্ততার নজির রয়েছে। এর আগে তার দুই ছেলে এরিক এবং ডোনাল্ড জুনিয়রও নিজেদের ক্রিপ্টো প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য এখনও স্পষ্ট নয়, তবে তার নতুন ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে ঝড় তুলেছে এবং ভবিষ্যতে এটি আরও আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।