টেকসই বন ও জীবিকা প্রকল্পে বন পুনরুদ্ধারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাংক-সহায়িত টেকসই বন ও জীবিকাসমূহ (সুফল) প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে বন পুনরুদ্ধার, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং বননির্ভর জনগোষ্ঠীর জীবিকা উন্নয়নে অভূতপূর্ব সাফল্য এসেছে। বুধবার সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন সহায়তা মিশনের সমাপনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি জানান, প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ১ লাখ ৩ হাজার ৯৬০ হেক্টর বনভূমি পুনঃস্থাপন করা হয়েছে, যার ফলে পাহাড়ি অঞ্চল, শালবন ও উপকূলীয় এলাকায় দেশীয় উদ্ভিদের বৈচিত্র্য লক্ষণীয় হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বন অধিদপ্তরে ‘সাইট-সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা’ টুল সফলভাবে চালু হয়েছে, যা তথ্যভিত্তিক পরিকল্পনা প্রক্রিয়াকে গতি দিয়েছে। এছাড়া ১ হাজার উদ্ভিদ প্রজাতির রেড লিস্ট মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে এবং ৫টি সংরক্ষিত অঞ্চলে বিদেশি আক্রমণাত্মক উদ্ভিদ প্রজাতি ব্যবস্থাপনায় কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি জানান, ৬১৫টি যৌথ বন ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান (জেএফএমআই)-এ ‘কমিউনিটি অপারেশনস ম্যানুয়াল’ কার্যকরভাবে চালু করা হয়েছে, যা ৪১ হাজারেরও বেশি বননির্ভর মানুষকে উপকৃত করেছে। প্রতিটি উপকমিটিতে নারীর ৫০ শতাংশ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে, যা বন শাসনে লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করেছে।
রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, মাঠপর্যায়ের বনায়ন, অবকাঠামো নির্মাণ এবং কমিউনিটি-ভিত্তিক কার্যক্রমে পরিবেশ ও সামাজিক সুরক্ষা নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) ব্যবস্থায় ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সহনশীল বন ব্যবস্থাপনার প্রতি দৃঢ় অঙ্গীকার বজায় রাখবে।