টেকসই উন্নয়নে বৈশ্বিক অগ্রগতির অপরিহার্য শর্ত হলো নারীর অধিকার – তারেক রহমান
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সম্প্রতি এক বাণী প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি নারীর অধিকারকে টেকসই উন্নয়ন ও বৈশ্বিক অগ্রগতির অপরিহার্য শর্ত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তার মতে, নারী সমাজের সমান অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত না হলে শান্তি, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।
তারেক রহমান বাণীতে উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকেই নারী সমাজের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে, বেগম খালেদা জিয়ার সরকার নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে, যার মধ্যে শিক্ষার প্রসারে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
১৯৯৩ সালের ১ জুলাই থেকে প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হয়, যা দেশের শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করতে ‘শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য’ কর্মসূচি চালু করা হয়। পল্লী অঞ্চলে মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা অবৈতনিক করা এবং মাধ্যমিক স্তরের ছাত্রীদের জন্য উপবৃত্তি কর্মসূচি চালু করা হয়, যা নারীর ক্ষমতায়ন ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনে সহায়ক হয়।
তারেক রহমান বাণীতে আরও বলেন, নারীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও সমান সুযোগ প্রদান করে তাদের সমাজের অগ্রগতি ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে অবদান রাখতে সহায়তা করা যায়। বদলে যাওয়া বিশ্বের কর্মপরিবেশে নারীর সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে, তারেক রহমান নারী সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণে সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা কামনা করেন। এ সময়, তিনি এবারের দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘অধিকার, সমতা, ক্ষমতায়ন: নারী ও কন্যার উন্নয়ন’ সফল করার জন্য সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।
তারেক রহমানের এই বাণী নারীর সমান অধিকার ও সুযোগ নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়ন ও বৈশ্বিক অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করে। নারীর ক্ষমতায়ন ছাড়া সমাজ ও রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়, এই সত্যটি আজকের দিনে আরও স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করা প্রয়োজন।