জ্যোতিষী-ভক্তি, সম্পর্কের টানাপোড়েন—কেন হারিয়ে গেলেন নব্বই দশকের কমেডি কিং গোবিন্দ?

নব্বই দশকের বলিউডে গোবিন্দ ছিলেন এক অনন্য নাম। তাঁর প্রাণবন্ত অভিনয়, দুর্দান্ত নাচ ও টাইমিং-এ ভরা কমেডি তাঁকে করে তুলেছিল দর্শকের প্রিয় নায়ক। কিন্তু ২০০০ সালের পর হঠাৎ করেই যেন ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যায় তাঁর জৌলুশ। এমনকি ‘কমেডি কিং’ হিসেবে খ্যাতি পাওয়া এই অভিনেতাকে আর বড়পর্দায় তেমন দেখা যায়নি। অথচ তাঁর প্রতিভা বা জনপ্রিয়তায় কোনও ঘাটতি ছিল না। প্রশ্ন উঠেছিল—তাহলে কোথায় সমস্যা হয়েছিল?

সম্প্রতি বলিউডের প্রবীণ প্রযোজক পহলাজ নিহালানি, যিনি একাধিক হিট ছবিতে গোবিন্দের সঙ্গে কাজ করেছেন, সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তাঁর দাবি, গোবিন্দর পতনের অন্যতম কারণ ছিল জ্যোতিষীদের ওপর অন্ধ বিশ্বাস। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “ওর চারপাশে ছিল জ্যোতিষীদের ভিড়। আর সে সবাইকে বিশ্বাস করতে শুরু করেছিল। সাধারণত মানুষ এসব কথায় এতটা মনোযোগ দেয় না, কিন্তু ও দিয়েছিল।” তার ফলে, গোবিন্দর মনোযোগ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বলেই মত পহলাজের। তিনি মনে করেন, অভিনয় নয়, ভাগ্যের ওপর নির্ভর করতে গিয়েই ক্যারিয়ারে ছন্দ হারান গোবিন্দ।

তবে ২০০৭ সালে সালমান খান ও ডেভিড ধাওয়ান তাঁকে নিয়ে আসেন ‘পার্টনার’ ছবিতে, যেখানে আবার এক ঝলক ফিরে আসে তাঁর আগের ছন্দ। ওই ছবির সাফল্যে গোবিন্দ ফের আলোচনায় আসেন এবং প্রকাশ্যে ধন্যবাদ জানান সালমানকে তাঁকে সুযোগ দেওয়ার জন্য।

সম্প্রতি আবার একটি গুঞ্জন উঠে—গোবিন্দ ও তাঁর স্ত্রী সুনীতা বিচ্ছেদের পথে হাঁটছেন। যদিও সুনীতা নিজেই এ খবর নাকচ করে দিয়ে বলেন, “আমরা আজীবন একসঙ্গে থাকব।” যদিও তাঁরা আলাদা থাকছেন, তবে তাঁদের মধ্যে ভালোবাসা এখনো অটুট বলেই জানিয়েছেন সুনীতা।

সব মিলিয়ে, বলিউডে গোবিন্দর ক্যারিয়ারের উত্থান-পতনের পেছনে যেমন রয়েছে কিছু ভুল সিদ্ধান্ত, তেমনই রয়েছে সময়ের নিষ্ঠুরতা। তবে তাঁর অসাধারণ প্রতিভা ও পরিশ্রমের জন্য তিনি সবসময় বলিউড ইতিহাসে স্মরণীয় থাকবেন।