নোয়াখালীর মাইজদীতে ভয়াবহ এক ঘটনায়, জুলাই আন্দোলনের শহীদ মাহমুদুল হাসান রিজভীর ছোট ভাই শাহরিয়ার হাসান রিমন (১৭) কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয়েছেন।
রোববার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলা শহরের প্রভাতী স্কুলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
মারাত্মকভাবে আহত রিমনকে প্রথমে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
রিমন নোয়াখালী সদর উপজেলার বসুন্ধরা কলোনির বাসিন্দা মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে।
সে হরিনারায়ণপুর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মূলত হাতিয়া উপজেলার হরনী ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও বাবার চাকরির সুবাদে পরিবারের সঙ্গে মাইজদীতে বসবাস করছিলেন রিমন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রিমন প্রতিদিনের মতো বিদ্যালয় শেষে বাসায় ফেরার পথে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা তাকে ঘিরে ধরে।
পরে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা।
স্থানীয়রা দ্রুত রিমনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার অবস্থা গুরুতর বিবেচনায় ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নোয়াখালী জেলার সদস্য সচিব মো. বনি ইয়ামিন জানান,
"শহীদ রিজভীর ছোট ভাই রিমনের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের এই বর্বর হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।"
এদিকে, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) রাজিব আহমেদ বলেন—
"রিমনকে হাসপাতালে আনার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।"
ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন—
"হামলার খবর পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জড়িতদের চিহ্নিত করে আটকের জন্য অভিযান চলছে।"
নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধমূলক তৎপরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
শহীদ পরিবারের সদস্যকে টার্গেট করে এমন হামলা সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।