জুলাই অভ্যুত্থানে দায়ীদের সুবিচার নিশ্চিতের তাগিদ ফলকার টুর্কের
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক সম্প্রতি বাংলাদেশের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের সুবিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ফৌজদারি মামলায় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ এবং সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক সহিংসতার তদন্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশের ছাত্র ও সাধারণ জনগণ ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেয়। এই অভ্যুত্থানে সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষই অংশগ্রহণ করে, তবে ছাত্রসমাজ ছিল এর প্রধান গাঠনিক শক্তি। এই অভ্যুত্থানকে ১৫ বছরের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও সামাজিক অসন্তোষের ফল।
অভ্যুত্থানের পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ গণভবনকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, গণভবনকে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করে অভ্যুত্থানের স্মৃতি সংরক্ষণ করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সংগৃহীত অভ্যুত্থানে নিহত ও আহত ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকায় কোনো তথ্য অসম্পূর্ণ বা ভুল থাকলে সংশোধনের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
ফলকার টুর্কের আহ্বান বাংলাদেশের মানবাধিকার সুরক্ষা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সরকারের উচিত এই আহ্বানকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে দেশের সকল নাগরিকের মানবাধিকার সুরক্ষিত থাকে এবং সুবিচার নিশ্চিত হয়।