জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে বিশ্বের বৃহত্তম হোম টেক্সটাইল শিল্পের মেলা চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলায় ৬৫টি দেশ থেকে অংশগ্রহণ করেছে তিন হাজারেরও বেশি কোম্পানি। বাংলাদেশ থেকে এ বছর ১৫টি কোম্পানি অংশ নিয়েছে, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নোমান টেড়ি টাওয়েল, যাবের যুবায়ের ফেব্রিক্স, শাবাব ফেব্রিক্স এবং এসিএস টেক্সটাইলস।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সহযোগিতায় এবং জার্মানিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে চারটি কোম্পানি মেলায় অংশ নেয়। বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স রাহাত বিন জামান এবং কমার্শিয়াল কাউন্সেলর চৌধুরি মো. গোলাম রাব্বী মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নগুলো পরিদর্শন করেন।
রাহাত বিন জামান বলেন, “বাংলাদেশের টেক্সটাইল শিল্পের বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতার সক্ষমতা রয়েছে। এই ধরনের মেলা রপ্তানির সুযোগ ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব বাড়াতে সহায়ক।”
মেলায় অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের হোম টেক্সটাইল পণ্য ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। নোমান টেড়ি টাওয়েলের নির্বাহী পরিচালক ইয়াসিন মাহমুদ বলেন, “রপ্তানি বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে আমরা কাজ করছি।”
মেলা কর্তৃপক্ষ জানায়, চার দিনব্যাপী এই মেলায় ১৪২টি দেশের প্রায় ৫০ হাজার ব্যবসায়ী প্রতিনিধি অংশ নেন এবং তাদের মধ্যে ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পন্ন হয়। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই মেলায় সরাসরি পণ্য বিক্রয় হয় না; বরং পণ্য প্রদর্শন এবং ব্যবসায়িক চুক্তি সম্পাদনই এর মূল উদ্দেশ্য।
পরবর্তী মেলা ২০২৬ সালের ১৩-১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা আশা প্রকাশ করেছেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের আরও বেশি কোম্পানি এ মেলায় অংশ নেবে এবং বৈশ্বিক বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করবে।