জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), তবে চূড়ান্ত সময় নির্ভর করবে রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর। চলতি বছরের ডিসেম্বর কিংবা ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০২৫ ও ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি।
ইসি সানাউল্লাহ বলেন, “নির্বাচনের সময় নির্ধারণ কমিশনের হাতে নেই। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী, যদি সংস্কার কার্যক্রম সংক্ষিপ্ত করা হয় এবং রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়, তাহলে নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে। আর যদি সংস্কারের জন্য দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়, তবে ২০২৬ সালের জুনে নির্বাচন করা হতে পারে।”
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “জাতীয় সংসদ ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আয়োজন করা নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সিদ্ধান্ত সরকার নিয়ে থাকে, আমরা শুধু আয়োজনের দায়িত্ব পালন করি।”
বিতর্কিত নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। কেউ অপরাধ করলে তাকে আইন-আদালতের মুখোমুখি হতে হবে। এটি নির্বাচন কমিশনের বিষয় নয়, এটি আইন ও আদালতের বিষয়।”
এসময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। “প্রকৃত নাগরিক যেন হয়রানির শিকার না হন, আবার বহিরাগতদের যেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি না ঘটে—এ বিষয়ে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন,” বলেন তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল আলম।