জাতিসংঘে ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একজোট চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান ও আলজেরিয়া
ইরানের ওপর ইসরায়েলের সামরিক হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একজোট হয়ে সরব হয়েছে চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান ও আলজেরিয়া। শুক্রবার অনুষ্ঠিত এই জরুরি বৈঠকে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, এই হামলা গোটা অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে এবং একটি ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের ঝুঁকি তৈরি করছে।
মূলত এই চার দেশের অনুরোধেই জাতিসংঘে এই বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, “ইরানের শান্তিপূর্ণ বেসামরিক পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু বানানো হচ্ছে। এতে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে, যা আন্তর্জাতিক শান্তির জন্য মারাত্মক হুমকি।” তিনি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলাকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে চরম বিপজ্জনক নজির হিসেবে উল্লেখ করেন।
চীনের রাষ্ট্রদূত ফু কং বলেন, “ইসরায়েলের এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের স্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি ইরানের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করছে এবং গোটা মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা ধ্বংস করে দিতে পারে।”
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রদূত আসিম ইফতিখার আহমদ বলেন, “ইসরায়েলের প্রকাশ্য সামরিক আগ্রাসন নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। এটি কেবল একটি দেশের নিরাপত্তা নয়, বরং সমগ্র অঞ্চলের শান্তি ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার ওপর আঘাত।”
আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আমার বেনদজামা বলেন, “বিনা উসকানিতে ও সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে এই হামলা চালানো হয়েছে। যা জাতিসংঘ সনদের সরাসরি লঙ্ঘন এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় বড় ধাক্কা।”
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন থেকে ইসরায়েল ইরানের বেশ কিছু সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। পাল্টা জবাবে ইরানও ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। চলমান এই সংঘর্ষে মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় পরিসরের যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, যার অভিঘাত বিশ্বজুড়ে পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।