চুরির মামলায় শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের রাজিবপুরে চাঁদাবাজি এবং পুকুরে মাছ চুরির অভিযোগে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুটি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া দুই নেতার মধ্যে একজন উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি কবির হোসেন (৫৫) এবং অপরজন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান (৪৬)। তাদের গ্রেপ্তারির ঘটনা জনমনে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে, কারণ তারা জনপ্রিয় রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা হওয়ার পরও এই ধরনের অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে।
পুলিশ জানায়, রবিবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজিবপুর থানা পুলিশ রাজিবপুর উপজেলার বটতলা বাস স্ট্যান্ড থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানায়, এই দুই নেতা পুকুর থেকে মাছ চুরি এবং চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। চাঁদাবাজির মাধ্যমে স্থানীয় ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ থেকে টাকা আদায় করত তারা, আর পুকুর থেকে মাছ চুরি করার অভিযোগে তারা বহুদিন ধরে স্থানীয় এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টি করেছিল।
গ্রেপ্তারকৃত কবির হোসেন কাচারি পাড়া গ্রামের মৃত নাজিম উদ্দিনের ছেলে, এবং হাফিজুর রহমান জাউয়ার চর গ্রামের মৃত সুরুজ্জামালের ছেলে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে, তবে এ ঘটনায় প্রধানত চাঁদাবাজি এবং মাছ চুরির অভিযোগে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই নেতা দীর্ঘদিন ধরে রাজibপুরের বিভিন্ন এলাকায় এই ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন এবং তাদের আচরণের ফলে স্থানীয় মানুষের মধ্যে ভীতি এবং অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল।
রাজিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তসলিম উদ্দিন এই ঘটনায় বলেন, “চাঁদাবাজি এবং পুকুরে মাছ চুরি করার অভিযোগে দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি তদন্তাধীন এবং মঙ্গলবার সকালে তাদের কুড়িগ্রাম আদালতে পাঠানো হবে।” পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, তারা ইতোমধ্যে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে।
এ ঘটনায় স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নিন্দা জানানো হয়েছে, কারণ দুই নেতার অপরাধের কারণে রাজনৈতিক দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। রাজibপুরের সাধারণ জনগণের অভিযোগ, রাজনীতির নামে এসব অপরাধী কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে, মানুষের আস্থা কমে যাবে রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতি। স্থানীয় নেতারা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে অভিযুক্তরা তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং দাবি করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তারা বলেন, “আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে এবং আমরা সঠিক সময়ে আদালতে আমাদের পক্ষে প্রমাণ উপস্থাপন করব।”