চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)কে একটি বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়া।
রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট সভাকক্ষে চুয়েট সাংবাদিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাৎকালে উপাচার্য বলেন, "আমার বড় পরিচয় আমি চুয়েটের ছাত্র। আমি জানি আমাদের ক্যাম্পাসে অনেক সমস্যা রয়েছে এবং আমি চাই, একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধান করা হোক। এর জন্য আমাকে সময় ও সহযোগিতা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে, বাস সংকট, বিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট, মেডিকেল সেবার অপ্রতুলতা, ক্লাসরুম সংকট ইত্যাদি বিষয়ে আমি কাজ শুরু করেছি। আমি আশা করি, সবার সহযোগিতায় চুয়েটকে একটি আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে পারবো।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, মাদক ও র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে শূন্য সহনশীলতা নীতি অনুসরণ করা হবে এবং এসব অভিযোগ উঠলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুল আলম ও উপ-পরিচালক অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সমিতির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চুয়েট সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তানবির আহমেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, সহ-সভাপতি মো. ফাহিম উদ্দীন, জেরিন সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক আসহাব লাবিব, দপ্তর সম্পাদক ইপসিতা জাহান সুমা, অর্থ সম্পাদক সাইকা শুহাদা, তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ ইয়াসির আফনান, এবং অন্যান্য কার্যনির্বাহী সদস্যরা।
সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তানবির আহমেদ চৌধুরী জানান, উপাচার্য মহোদয়ের কাছে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি এবং উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি তুলে ধরেছি। তিনি আমাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন এবং সাংবাদিক সমিতিকে সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছেন। আশা করি, সবার সহযোগিতায় চুয়েট বিশ্বমঞ্চে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে সক্ষম হবে।"
আলোচনা সভা শেষে, সাংবাদিক সমিতির সদস্যরা উপাচার্য ও ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের নবনিযুক্ত পরিচালককে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। উপাচার্য এসময় সাংবাদিকদের স্বাগত জানান এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও চুয়েটকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার জন্য সাংবাদিক সমিতির কাছে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। তিনি ন্যায়ের পক্ষে কাজ করার জন্য চুয়েট সাংবাদিক সমিতিকে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন।