চীন-তাইওয়ান এক হবে, নতুন বছরে বার্তা শি জিনপিং-এর
চীন-তাইওয়ান এক হবে, নতুন বছরের ভাষণে এমন অঙ্গীকার করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, মাতৃভূমির পুনঃএকত্রীকরণ হবেই এবং চীন ও তাইওয়ান এক হয়ে জাতীয় নবজীবনের গৌরবে অংশীদার হবে। শি জিনপিংয়ের এই মন্তব্য তাইওয়ানের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।
তাইওয়ানের ওপর চাপ প্রয়োগের ইঙ্গিত দিয়ে শি জানান, প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেও চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করবে। ইতোমধ্যে চীন বারবার সামরিক মহড়া এবং যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েনের মাধ্যমে তাইওয়ানের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
চীন মনে করে, তাইওয়ানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন এবং ডেমোক্রেটিক পিপলস পার্টির শীর্ষ নেতা লাই বিচ্ছিন্নতাবাদী নীতি অনুসরণ করছেন, যা চীনকে উসকানি দিচ্ছে। অন্যদিকে, তাইওয়ানের নেতারা অভিযোগ করেছেন, চীন তাদের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করছে এবং ভুল তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করছে। চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
শি জিনপিং তার বক্তব্যে চীনের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের বিষয়টিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কোভিড-১৯-এর প্রভাব কাটিয়ে চীনের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে ইলেকট্রিক গাড়ি, লিথিয়াম ব্যাটারি এবং সৌর প্যানেলের ক্ষেত্রে চীন বাণিজ্যিকভাবে ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করেন, এখনও কর্মসংস্থান সংকট এবং কিছু কোম্পানির ওপর চাপ অব্যাহত রয়েছে, যা তাকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।
শি আরও বলেন, ২০২৩ সালে চীনের জিডিপি বৃদ্ধি হয়েছে ৫ শতাংশ, যা পূর্ববর্তী দশকের তুলনায় কম। তবে তিনি ২০২৪ সালে ইতিবাচক অগ্রগতি ধরে রাখার প্রতিশ্রুতি দেন। দেশের দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক উন্নয়ন ও মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নকে তিনি অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলেন।
এই ভাষণের মাধ্যমে শি জিনপিং নতুন বছরে চীনের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থানের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, তাইওয়ান ইস্যুতে চীনের কৌশলগত অবস্থান নতুন বছরে আরও জোরালো হতে পারে।