চীন-জাপানে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন ভাইরাস, মহামারির শঙ্কা
চীন ও জাপানে নতুন একটি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। “দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস” (এইচএমপিভি) নামের এই ভাইরাস ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো উপসর্গ তৈরি করে এবং ইতোমধ্যে বহু মানুষকে সংক্রমিত করেছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ মহামারির রূপ নিতে পারে।
চীনের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাসটির সংক্রমণ ও বিস্তৃতি নিয়ে নানা আলোচনা হচ্ছে। এইচএমপিভি মূলত একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, যা প্রথম ২০০১ সালে চিহ্নিত হয়। এটি শিশু, বয়স্ক, এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য বিশেষ ঝুঁকিপূর্ণ।
ভাইরাসটির সাধারণ লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট। জটিল ক্ষেত্রে এটি ব্রংকাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো প্রাণঘাতী রোগ সৃষ্টি করতে পারে। সংক্রমণ সাধারণত হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে নির্গত সিক্রেশনের সংস্পর্শ, ব্যক্তিগত যোগাযোগ (যেমন হাত মেলানো), কিংবা সংক্রমিত পৃষ্ঠ স্পর্শ করার পর মুখ, নাক, বা চোখে হাত দিলে ছড়ায়।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ২০২৫ সালে নতুন একটি মহামারি সৃষ্টি হতে পারে। তবে এখনো কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, তা স্পষ্ট নয়। যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মাইকেল হেড বলেন, “আরেকটি মহামারির আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখনো নিশ্চিত নয় কোন রোগটি মহামারি রূপ নেবে। এই কারণে সম্ভাব্য মহামারির নাম দেওয়া হয়েছে ডিজিজ এক্স।”
এইচএমপিভির পাশাপাশি হাম, কলেরা, বার্ড ফ্লু, এবং স্ক্যাবিসসহ আরও প্রায় ১১টি রোগকে সম্ভাব্য মহামারির তালিকায় রাখা হয়েছে। সাম্প্রতিক এইচএমপিভির প্রাদুর্ভাব চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে।
এই ভাইরাসের প্রতিরোধে এখনই সচেতনতা বাড়ানো এবং সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে, যেকোনো ধরনের শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি বলে জানিয়েছেন তারা।
সূত্র: এনডিটিভি