শপথ গ্রহণের প্রথম দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়ে বেইজিংয়ের প্রতি কঠোর মনোভাবের ইঙ্গিত দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প জানান, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত চীনা পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে।
নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা সব চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন। তবে বাস্তবে আরোপিত শুল্ক অনেক কম হলেও এই সিদ্ধান্ত চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের টানাপোড়েনকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
চীন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার, এবং মার্কিন বাজার চীনা পণ্যের ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। কিন্তু ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন চীন থেকে আসা ভয়াবহ মাদক ফেন্টানিল। তিনি বলেন, "চীন থেকে আসা ফেন্টানিল যুক্তরাষ্ট্রে মাদক সংকট তৈরি করেছে। শুল্ক বৃদ্ধির মাধ্যমে আমি আশা করি বেইজিং এই মাদক চোরাচালান বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেবে।"
ফেন্টানিল, যা হেরোইনের চেয়েও ৫০ গুণ বেশি নেশাসক্তি তৈরি করে, যুক্তরাষ্ট্রে মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে। এই মাদকের কারণে দেশটিতে প্রতিদিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। ট্রাম্পের মতে, চীনা মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এই শুল্ক আরোপ প্রয়োজনীয়।
এদিকে, ট্রাম্প একই সঙ্গে কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে চীনের ক্ষেত্রে শুল্কের হার তুলনামূলক কম রাখা হলেও এটি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক উত্তেজনা বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
চীনের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।