বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বয়সসীমা বাড়িয়ে ৩৪ বছর করার দাবি জানিয়ে চিকিৎসকরা গত ৫ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের কাছে আবেদন করেছেন। তাদের দাবি, পূর্ববর্তী বিসিএস পরীক্ষায় চিকিৎসকদের বয়সসীমা ৩২ বছর ছিল, তবে বর্তমানে অন্য আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩২ বছর করা হলেও চিকিৎসকদের জন্য তা অপরিবর্তিত রয়েছে, যা তাদের প্রতি বৈষম্য সৃষ্টি করছে।
চিকিৎসকরা তাদের আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছেন, 'আমরা জানি যে, ৪৭তম বিসিএস প্রজ্ঞাপনে আবেদনকারীদের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩২ করা হয়েছে, যা সরকারের উদার দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। তবে, চিকিৎসকদের জন্য বয়সসীমা পূর্বের মতোই ৩২ বছর রয়েছে।' তারা আরও বলেছেন, ‘এমবিবিএস স্নাতক ও ইন্টার্নশিপ শেষ করতে ৭৮ মাস বা প্রায় সাড়ে ৬ বছর লাগে, যেখানে অন্যান্য আবেদনকারীদের ৪ বছর সময় লাগে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করতে। এর কারণে চিকিৎসকদের বয়সসীমা ৩২ বছরের বদলে ৩৪ বছর হওয়া উচিত।’
এছাড়া, ৩ ডিসেম্বর শহীদ মিনারে চিকিৎসকরা বিসিএসে অংশগ্রহণের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে সমাবেশ করেন। তারা জানান, এমবিবিএস কোর্সের জন্য অতিরিক্ত ২-২.৫ বছর সময় লাগে, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের তুলনায় বেশী। এর ফলে, চিকিৎসকরা অন্যদের থেকে বাড়তি সুবিধা পেলেও বয়সসীমায় কোনো পরিবর্তন হয়নি, যা তাদের জন্য অসুবিধা সৃষ্টি করছে।
চিকিৎসকরা বলেন, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ধরন বিসিএস পরীক্ষার সাথে সরাসরি সম্পর্কিত নয়, ফলে তাদের জন্য অতিরিক্ত পড়ালেখা করতে হয়, যাতে বিসিএস প্রতিযোগিতায় সফল হতে পারে। তাই, চিকিৎসকদের জন্য বয়সসীমা বাড়ানোর আবেদন তাদের বৈধ এবং যুক্তিসংগত দাবি হিসেবে দেখা হচ্ছে।