২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় চাকরিচ্যুত হওয়া ৮৫ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চাকরিতে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আদালত একই সঙ্গে তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার শুনানিকালে মৃত্যুবরণ করা তিনজন কর্মকর্তার পরিবারের প্রতিও একই সুবিধা প্রযোজ্য হবে বলে আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ এই রায় দেন।
এর আগে, ২০ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে আজকের দিনটি রায় ঘোষণার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।
২০০৫ সালে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে ৩২৭ জনকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে চারদলীয় জোট সরকারের সময় এই নিয়োগ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। পরে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই নিয়োগের মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয় এবং ৮৫ জনকে চাকরিচ্যুত করে।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা মামলা করলে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল তাদের আবেদন খারিজ করে। পরে তারা আপিল করলে ২০১০ সালে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল তাদের পুনর্বহালের পক্ষে রায় দেয়। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আপিল করা হলে আপিল বিভাগ ২০২২ সালে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয়, ফলে তাদের চাকরিতে ফেরার পথ বন্ধ হয়ে যায়।
পরে ২০২৩ সালে চাকরি ফিরে পেতে রিভিউ আবেদন করা হলে আজ আপিল বিভাগ সেই রায় বাতিল করে তাদের পুনর্বহালের আদেশ দেন।