জামালপুর সদর উপজেলায় চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির তিন নেতাকর্মীকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। শুক্রবার (৭ মার্চ) রাত সাড়ে নয়টার দিকে মেষ্টা ইউনিয়নের হাজীপুর বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন, হাজীপুর ফকিরপাড়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে ও ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সদস্য মো. পলাশ মিয়া (৪৫), মইনুদ্দিনের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম (৪৩), ও নজরুল ইসলামের ছেলে ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য মো. ফরমান (৪০)।
জানা যায়, হাজীপুর বাজারের ব্যবসায়ী মাসুদ রানা তাদের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
মেষ্টা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সামাদ ছানা জানান, পলাশ মিয়া ইউনিয়ন শ্রমিকদলের সদস্য এবং মো. ফরমান ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য। তবে সিরাজুল ইসলামের সম্পর্কে তিনি তেমন কিছু জানেন না।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ফয়সল মো. আতিক জানান, চাঁদা দাবির অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে। তারা সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তদন্ত শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চাঁদাবাজির অভিযোগে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হওয়ায় নোয়াখালীতে বিএনপির তিন নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. হারুনুর রশিদ আজাদ স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অব্যাহতি পাওয়া নেতারা হলেন, কবিরহাট উপজেলার বাটইয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জসিম, সদর উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি নুরুল আমিন, এবং হাতিয়া উপজেলার তমরদ্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তানভির হায়দার তান্না।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, তারা সরকার পতনের পর থেকে নিজ নিজ এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, চাঁদাবাজি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ধরনের ঘটনা বিএনপির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও ভাবমূর্তিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। দলের নেতাকর্মীদের আইন মেনে চলা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।