আর মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে হজ, আর এ উপলক্ষে ইতোমধ্যেই লাখ লাখ হজযাত্রী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন, অনেকেই আছেন যাত্রাপথে। গ্রীষ্মকালীন মরু আবহাওয়ায় এবারের হজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যেখানে তাপমাত্রা ৪০ থেকে ৪৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে বলে জানিয়েছে সৌদির আবহাওয়া বিভাগ।
এই তীব্র গরমে হজযাত্রীদের সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করতে সৌদির জাতীয় পানি পরিষেবা দপ্তর এক বড়সড় পদক্ষেপ নিয়েছে। তারা জানিয়েছে, হজের প্রতিটি দিনে মিনা, আরাফাত, মুজদালিফা ও কাবায় অবস্থানকারী মুসল্লিদের জন্য প্রতিদিন ১০ লাখ টন পানি সরবরাহ করা হবে। এ কাজে পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং পানি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ও অংশ নেবে।
সৌদি আরবের নিজস্ব কোনো স্বাদুপানির জলাধার না থাকায় দেশটি সাধারণত সাগরের লোনা পানি লবণমুক্ত করে তা ব্যবহারের উপযোগী করে তোলে। বর্তমানে সৌদি প্রতিদিন ৭ লাখ ৫০ হাজার টন পানি সরবরাহ করে থাকে, যা হজের সময় বৃদ্ধি পেয়ে হবে ১০ লাখ টন। যদিও পরিষেবা দপ্তরের সর্বোচ্চ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ১০ লাখ ২০ হাজার টন, তবুও এই বৃহৎ চাহিদা মেটাতে তারা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
পানির সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখতে গঠন করা হয়েছে একটি বিশেষ টিম, যেখানে রয়েছেন ২ হাজারের বেশি প্রকৌশলী ও টেকনিশিয়ান। তাছাড়া সরবরাহকৃত পানির মান পরীক্ষা ও নিশ্চয়তার দায়িত্বে রয়েছে ৪ হাজারেরও বেশি ল্যাবরেটরি। পাশাপাশি হজযাত্রীদের বিশ্রামের জন্য কাবা ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থানগুলোর আশপাশে ৩২ হাজারেরও বেশি বিশ্রামাগার প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যেখানে পানির সুব্যবস্থাও থাকবে।
হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের একটি। আর্থিক ও শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য জীবনে অন্তত একবার হজ পালন করা ফরজ। তাই প্রতি বছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ মুসল্লি হজে অংশ নিতে সৌদি আরবে আসেন। চলতি বছর হজ শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৪ জুন।
সূত্র: গালফ নিউজ