চট্টগ্রামের খুলশী থানা এলাকায় পুলিশ দেখে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন ৬০ বছর বয়সী আওয়ামী লীগ নেতা লাল মিয়া। রোববার (২ মার্চ) বিকেলে কুসুমবাগ আবাসিক এলাকার ডেবার পাড়ে এ ঘটনাটি ঘটে। লাল মিয়া ওই এলাকার রাজীব ভবনের নিচতলায় একটি মুদির দোকান পরিচালনা করতেন এবং একই ভবনে বসবাস করতেন। তিনি ডেবারপাড় ইউনিট আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা রোববার বিকেলে এক পরোয়ানাভুক্ত আসামির সম্পর্কে তথ্য নিতে ওই এলাকায় গিয়েছিল। এ সময় তাদের সঙ্গে লাল মিয়ার কথোপকথন হয়। কথাবার্তার একপর্যায়ে লাল মিয়া মাটিতে পড়ে যান।
লাল মিয়ার আত্মীয় মো. শরীফ জানান, পুলিশ জোর করে তার ফুফার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে, এ সময় ভয় পেয়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকদের মতে, হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছেন, "আফাং ভাই দোকানে ব্যবসা করছিলেন। পুলিশ এসে তাকে মালপত্র গুছিয়ে নিতে বলে, থানায় যেতে হবে। এর পরেই ৬৫-৬৭ বছর বয়সী নিরপরাধ মানুষটি হার্ট অ্যাটাক করে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রথম রোজা, আর রোজা মুখে বিদায় নিলেন আমাদের প্রিয় হাস্যোজ্জ্বল আফাং ভাই।"
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, লাল মিয়ার বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। পুলিশ শুধুমাত্র এক পরোয়ানাভুক্ত আসামির বিষয়ে তথ্য নিতে তার সঙ্গে কথা বলছিল। কথোপকথনের সময় তার মাথা ঘুরে পড়ে যায়। স্থানীয়ভাবে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন, হয়ত এ কারণেই ভয় পেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।