গ্রীষ্মে লোডশেডিং হলেও রমজানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার পরিকল্পনা
আসন্ন গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াটের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত লোডশেডিং হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তবে রমজান মাসে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিদ্যুৎ ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, রমজানে বিদ্যুতের চাহিদা হবে ১৫ হাজার মেগাওয়াট, যা সরবরাহ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সময় বিদ্যুৎ সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান রেজাউল করিমসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যুৎ উপদেষ্টা জানান, রমজানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো হবে। বর্তমানে ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হলেও রমজানে তা ১২০০ মিলিয়ন এবং এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১১০০ মিলিয়ন ঘনফুট করা হবে। এ ছাড়া ৪ কার্গো অতিরিক্ত এলএনজি আমদানি করা হবে।
গ্রীষ্ম ও সেচ মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা কমাতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) তাপমাত্রা ২৫-২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখার পরামর্শ দেন উপদেষ্টা। এতে ২ থেকে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা হ্রাস পাবে, ফলে লোডশেডিং এড়ানো সম্ভব হবে।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়ে তিনি জানান, আপাতত কোনো মূল্য বৃদ্ধি করা হবে না, তবে নতুন শিল্প খাতে গ্যাসের দাম বাড়তে পারে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময় জানানো কঠিন হলেও বকেয়া কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে বিপিসির সব বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে।
এছাড়া, বিদ্যুৎ খাতে নতুন কোনো পাওয়ার প্লান্টের চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রমজানে ইফতার, সাহরি ও তারাবির সময় লোডশেডিং না রাখা, মসজিদগুলোর এসি ২৫ ডিগ্রির নিচে না নামানো, পিক আওয়ারে সেচ পাম্প বন্ধ রাখা ও ওভারলোডেড ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।