বিদ্যুৎ বিভাগ আগামী গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা ১৮ হাজার মেগাওয়াট হতে পারে বলে সম্ভাব্য প্রক্ষেপণ করেছে। সেচ, রমজানের অতিরিক্ত ব্যবহার এবং গ্রীষ্মের তাপমাত্রা এই চাহিদা আরও বাড়াবে। তবে গত বছর ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার সময় বিতরণ ব্যবস্থায় ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। এবার চাহিদা আরও বাড়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
কয়লা সংকট ও ডলার পরিস্থিতি:
গত গ্রীষ্মে কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জ্বালানি সংকটের কারণে অনেক কেন্দ্র বন্ধ রাখতে হয়েছিল। আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজারের বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় এবারের পরিস্থিতিও একইরকম কঠিন হতে পারে। প্রতি মাসে এক বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি আমদানির ব্যয় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গ্রীষ্মের বিদ্যুৎ চাহিদার ধাপ:
ফেব্রুয়ারি থেকে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়তে শুরু করবে, সেচের জন্য প্রয়োজন হবে অতিরিক্ত ১,৮০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। মার্চে পবিত্র রমজান শুরু হওয়ায় চাহিদা আরও বৃদ্ধি পাবে। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে।
পিডিবির পরিকল্পনা ও সমস্যা:
পিডিবি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানিয়েছেন, বাড়তি বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় জ্বালানি সরবরাহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে এই পরিকল্পনা জ্বালানি সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল।
বিশেষজ্ঞের মতামত:
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম মনে করেন, বিদ্যুৎ খাতের সংকট পূর্বের সরকারগুলোর ভুল পরিকল্পনার ফল। জ্বালানির ব্যয় ও মূল্যবৃদ্ধি জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়াচ্ছে। তিনি আরও বলেন, স্বল্পমূল্যে জ্বালানি ও জ্বালানিজাত পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত না করলে অর্থনীতি আরও চাপের মুখে পড়বে।
উপসংহার:
গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম উদ্বেগ রয়েছে। সরকার এবং পিডিবিকে সঠিক পরিকল্পনা এবং জ্বালানি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই সংকট সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।