গ্রিস কর্মী সংকট মোকাবিলায় এ বছর ৮৯,২৯০ জন বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। সম্প্রতি গ্রিক মন্ত্রিসভা এ নিয়ে একটি গেজেট পাস করেছে। এর আওতায় পূর্বের চুক্তি অনুযায়ী ৪ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক ভিসা পাবেন।
গ্রিসের কৃষি, নির্মাণ ও পর্যটন খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরে তিন লাখ কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। বর্তমানে ডিশওয়াশার, ওয়েটার, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, শেফ, স্পা থেরাপিস্ট, নির্মাণ কারিগর, ওয়েল্ডার, কাঠমিস্ত্রি, ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, সাইট ইঞ্জিনিয়ার, এবং ভারী যন্ত্রপাতি চালাতে সক্ষম অপারেটরের মতো পেশায় ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।
কর্মী সংকটে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষি খাতের মালিকরা। দীর্ঘদিন ধরে এ খাতে শ্রমিকের অভাব দেখা দিয়েছে।
নতুন গেজেট অনুযায়ী, মোট নিয়োগের মধ্যে ৪৫,৬৭০ জনকে মৌসুমি কাজের জন্য সিজনাল ভিসা দেওয়া হবে। এছাড়া দুই হাজার জনকে উচ্চ দক্ষতার জন্য এবং ৪১,৬৭০ জনকে নির্ভরশীল কর্মসংস্থানের জন্য স্পন্সর ভিসায় আনার পরিকল্পনা করা হয়েছে।
গেজেট অনুযায়ী, ৯ হাজার কর্মী বাংলাদেশ ও মিশর থেকে আনা হবে। এর মধ্যে চার হাজার বাংলাদেশি কৃষি, বন, মৎস্য এবং পর্যটন খাতে কাজ করবেন। ২০২২ সালের চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশি কর্মীদের মাধ্যমে গ্রিসের কৃষি খাতে শূন্যপদ পূরণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মিশরীয় কর্মীরা সিজনাল ভিসায় গ্রিসের কৃষি খাতে পাঁচ হাজার শূন্যপদ পূরণ করবেন।
বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস না থাকায় ভিসা পেতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বাংলাদেশিরা। ফলে চুক্তি হওয়ার দুই বছর পরও ভিসা কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি।
গ্রিসের শ্রমবাজারে প্রবেশে আগ্রহী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য এই পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।