৬০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ডেনমার্কের অংশ হয়ে থাকা বিশাল আর্কটিক দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের 'মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ' নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।
১৯৭৯ সালে স্বায়ত্তশাসন লাভ করা সত্ত্বেও গ্রিনল্যান্ড এখনো বৈদেশিক বিষয়, নিরাপত্তা এবং আর্থিক দিক থেকে ডেনমার্কের ওপর নির্ভরশীল। এই অঞ্চলটি ইউরেনিয়াম, সোনা, তেল ও গ্যাসের বিশাল মজুদসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর।
স্থানীয় সময় রোববার (২২ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতার স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে গ্রিনল্যান্ডের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ একান্ত প্রয়োজন।
এটি নতুন কিছু নয়। এর আগেও ১৯৪৬ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান ডেনমার্ককে ১০০ মিলিয়ন ডলারের স্বর্ণ দিয়ে গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। ২০১৯ সালে, তখনকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন, যার ফলে ওয়াশিংটন ও কোপেনহেগেনের মধ্যে কূটনৈতিক ফাটল সৃষ্টি হয়েছিল। সে সময় ট্রাম্পকে ডেনমার্কে তার রাষ্ট্রীয় সফর বাতিল করতে হয়েছিল।
ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের জবাবে, সোমবার গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুতে এগেদে বলেছিলেন, “গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়। এটি আমাদের। আমরা কখনো বিক্রির জন্য থাকব না।” তিনি উল্লেখ করেন, গ্রিনল্যান্ডের মানুষ স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘকাল ধরে সংগ্রাম করেছে।
এদিকে, ২১ ডিসেম্বর ট্রাম্প পানামার কাছ থেকে পানামা খালের "দখলের হুমকি" দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যদি পানামা খালে মার্কিন জাহাজের ওপর 'মাত্রাতিরিক্ত' শুল্ক আরোপ করা হয়, তবে ওয়াশিংটন খালের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করতে পারে। এছাড়া, সম্প্রতি ট্রাম্প পরামর্শ দেন, কানাডা আমেরিকার ৫১তম রাজ্য হতে পারে।