প্রিন্ট এর তারিখঃ মার্চ ১১, ২০২৫, ২:৪১ এ.এম || প্রকাশের তারিখঃ ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫, ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ
গুড়ের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
গুড়ের পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা
মিষ্টি খাবার আমাদের মন ভালো করে দিলেও সাদা চিনি স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ভালো নয়। প্রক্রিয়াকরণের ফলে এতে ক্যালরি ছাড়া তেমন কোনো খনিজ উপাদান থাকে না। এটি দ্রুত রক্তে মিশে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং ওজন বৃদ্ধির কারণ হতে পারে। তবে চিনির তুলনায় গুড় স্বাস্থ্যকর একটি বিকল্প হতে পারে, কারণ এতে পুষ্টিগুণ বেশি এবং এটি কম প্রক্রিয়াজাত করা হয়।
গুড়ের পুষ্টিগুণ
১০০ গ্রাম গুড়ে প্রায় ৭০ গ্রাম সুক্রোজ থাকে, যেখানে একই পরিমাণ চিনিতে থাকে ৯৯ গ্রাম। এছাড়া এতে রয়েছে—
- ক্যালরি: ৩৮৩
- ফ্রুক্টোজ: ১০ গ্রাম
- প্রোটিন: ০.৪ গ্রাম
- চর্বি (ফ্যাট): ০.১ গ্রাম
- আয়রন: ১১ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেশিয়াম: ৭০-৯০ মিলিগ্রাম
- পটাশিয়াম: ১.৫৬ মিলিগ্রাম
- ম্যাংগানিজ: ০.২-০.৫ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন: এ, সি, ই
- ক্যালসিয়াম, জিংক, ফসফরাস ও কপার
গুড়ের উপকারিতা
- আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়ামের ভালো উৎস: রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, হজম প্রক্রিয়া উন্নতকরণ এবং রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
- হজমে সহায়ক: রাসায়নিকভাবে প্রক্রিয়াজাত না হওয়ায় এটি চিনির তুলনায় সহজে হজম হয়।
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ: এতে থাকা ফেনোলিক অ্যাসিড শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে বয়স ধরে রাখতে সহায়তা করে।
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি: ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
সতর্কতা
গুড় চিনির তুলনায় স্বাস্থ্যকর হলেও এটি বেশি পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়। এতে উচ্চমাত্রার ক্যালরি থাকায় রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গুড়ও ক্ষতিকর হতে পারে। অতিরিক্ত চিনি বা গুড় গ্রহণ করলে ওজন বৃদ্ধি পায়, যা ভবিষ্যতে হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
তথ্যসূত্র: হেলথলাইন
Copyright © 2025 Deshjogot News. All rights reserved.