মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এবং জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ গাজার বিষয়ে তাদের দেশের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পর তারা এই অবস্থান ঘোষণা করেন।
মিশরীয় প্রেসিডেন্সির এক বিবৃতিতে বলা হয়, “দুই নেতা গাজার পুনর্গঠনে মিশর ও জর্ডানের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিশ্চিত করেছেন, যাতে ফিলিস্তিনিদের তাদের ভূমি থেকে উৎখাত না করা হয়।” একইভাবে, জর্ডানের রাজকীয় আদালতের আরেকটি বিবৃতিতে জানানো হয় যে, দুই নেতা ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিরুদ্ধে তাদের একীভূত অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
এছাড়া, উভয় দেশ ট্রাম্পের সঙ্গে ‘ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি’ অর্জনের জন্য সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেছেন। আরব নিউজের প্রতিবেদনে জানা যায়, মিশর ও জর্ডান গাজা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর আরব প্রতিরোধের নেতৃত্ব দিচ্ছে, যেখানে গাজার ফিলিস্তিনিদের মিশর ও জর্ডানে স্থানান্তরের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্প, এই দুই দেশকে হুমকি দিয়েছেন যে, যদি তারা ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ না করে, তবে তিনি তাদের জন্য বরাদ্দকৃত সহায়তা বন্ধ করে দিতে পারেন।
মঙ্গলবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজা আবদুল্লাহ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অবিচল। এটি আরব বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ অবস্থান।"
এদিকে, মিশর ঘোষণা করেছে যে, তারা চলতি মাসে আরব দেশগুলোর একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করবে এবং গাজার পুনর্গঠনের জন্য এমন একটি ‘সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি’ উপস্থাপন করবে, যা ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমিতে টিকিয়ে রাখবে।
মিশর ও জর্ডান উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং তারা বৈদেশিক সহায়তার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, যেখানে আমেরিকা তাদের অন্যতম প্রধান দাতা দেশ।