ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকা নিয়ে ফের কড়া বার্তা দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল হার্জি হালেভি ঘোষণা দিয়েছেন, গাজার জন্য ‘আক্রমণাত্মক সামরিক পরিকল্পনা’ প্রস্তুত করছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এই পরিকল্পনার বিস্তারিত বিষয়বস্তু প্রকাশ করা হয়নি।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহর থেকে তিন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে এ তথ্য জানান হালেভি।
গতকাল বিকেলে তিন ইসরায়েলি জিম্মির বিনিময়ে ৩৬৯ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। তবে এর কিছুক্ষণ পরই সেনাপ্রধান হালেভি জানান, ইসরায়েল জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা চালানোর পাশাপাশি গাজায় আক্রমণাত্মক পরিকল্পনা নিয়েও কাজ করছে। যদিও কবে, কীভাবে এবং কোন উপায়ে এটি বাস্তবায়ন করা হবে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেননি তিনি।
এর আগে ১৯ জানুয়ারি কাতার, মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকর হয়। ৪২ দিনব্যাপী এ যুদ্ধবিরতির আওতায় ইসরায়েল ও হামাস কয়েক দফায় বন্দি বিনিময় করে। শনিবার ছিল এই বন্দি বিনিময়ের ষষ্ঠ পর্যায়।
কিন্তু এই যুদ্ধবিরতির মাঝেও গাজায় নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। হামাস দাবি করেছে, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি শর্ত লঙ্ঘন করে গাজায় হামলা চালিয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলও অভিযোগ করেছে যে, হামাস তাদের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইসরায়েলের এই নতুন পরিকল্পনার ঘোষণা গাজায় নতুন করে সংঘাতের ইঙ্গিত দিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে উত্তেজনা কিছুটা কমলেও, ইসরায়েলি বাহিনীর এই পদক্ষেপ পুরো অঞ্চলে অস্থিরতা আরও বাড়াতে পারে।
তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো কূটনৈতিকভাবে যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে ইসরায়েলের নতুন পরিকল্পনার ঘোষণা ভবিষ্যতের জন্য আরও বড় সংঘর্ষের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।