গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলা অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর বিমান ও স্থল হামলায় ৪৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ৫২ জন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এ হামলা শুরু হওয়ার পর থেকে, গত ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর, গাজা উপত্যকায় হামলা আরও তীব্র হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরাইলি বাহিনী অব্যাহতভাবে গাজা উপত্যকায় বোমা বর্ষণ ও স্থল হামলা চালাচ্ছে। এর ফলে গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার ৫০০ জনে পৌঁছেছে। একই সময়ে আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৯০ জন ছাড়িয়ে গেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এখনও বহু মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকর্মীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মতে, ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। এসব মানুষকে খুঁজে বের করার জন্য উদ্ধারকর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন, তবে সীমিত সুযোগ ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে তাদের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
ইসরাইলি হামলায় গাজার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাসপাতালে, স্কুলে, শরণার্থী শিবির, মসজিদ ও গির্জা সহ বহু ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তাব দিলেও, ইসরাইল এই হামলা থামানোর কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছে না। ফলে গাজায় প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সমাজের পক্ষ থেকে ইসরাইলি হামলার নিন্দা জানানো হচ্ছে, তবে গাজার এই মানবিক বিপর্যয় এখনও অব্যাহত রয়েছে।