গাজর শুধু সুস্বাদুই নয়, এটি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি। গাজরের হালুয়া, স্যুপ, সালাদ বা জুসের পাশাপাশি কাঁচা গাজর চিবিয়ে খেলেও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন কে১, পটাশিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ নানা পুষ্টি উপাদান। শীতকালীন এই সবজিটি এখন বাজারে সহজলভ্য। প্রতিদিন গাজর খাওয়ার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা জেনে নিন।
হজমশক্তি উন্নত করে:
গাজরে প্রচুর পরিমাণে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে কার্যকর এবং অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। গাজরের উচ্চ জলীয় উপাদান শরীরে পর্যাপ্ত হাইড্রেশন বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে:
গাজরে থাকা বিটা-ক্যারোটিন শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়, যা চোখের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত গাজর খেলে রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং বয়সজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকিও কমে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
গাজরে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকলেও ফাইবার এবং পানি বেশি থাকে, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এতে থাকা প্রাকৃতিক মিষ্টি স্বাদ চিনিযুক্ত খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষাও কমায়, যা স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখতে সহায়ক।
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়:
গাজরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার ও ভিটামিন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। এছাড়া, পটাশিয়ামের ভালো উৎস হওয়ায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে:
গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম ও ফাইবার থাকে, যা শরীরের সার্বিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন একটি গাজর খেলে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করা, হৃদরোগের ঝুঁকি কমানো, ওজন নিয়ন্ত্রণ করা এবং হজমশক্তি ভালো রাখার মতো অসংখ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। তাই খাদ্যতালিকায় গাজর রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া