গণহত্যার বিচার, নির্বাচনের রোডম্যাপ ও সংস্কারে মতৈক্য
নতুন বছরের শুরুতে অন্তর্বর্তী সরকার তিনটি প্রধান লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে: জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করা, রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য মতৈক্য গড়ে তোলা এবং রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচন করা।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা শেষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব লক্ষ্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। সভায় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সভাপতিত্ব করেন।
তিনটি প্রধান লক্ষ্য সৈয়দা রিজওয়ানা বলেন, নতুন বছরে সরকারের পরিকল্পনা তিনটি প্রধান লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার। এগুলো হল:
জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার: ২০০৭ সালের হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।
রাজনৈতিক সংস্কার: সংস্কারের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতৈক্য গড়ে তোলা।
নির্বাচন: নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুযায়ী সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা।
এছাড়া, সাধারণ কার্যক্রম, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়েও সরকারের লক্ষ্য থাকবে।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ সভায় দেশের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে নেয়া পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়। বিশেষ করে ইটভাটার মাধ্যমে বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার কীভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে শুল্ক কমানোর উদ্যোগ এছাড়া, বায়ু পরিষ্কার করার জন্য এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহারের প্রস্তাবও উঠে আসে, যা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের শুল্ক কমানোর মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অবকাঠামো ও শুল্ক সংস্কার আলোচনা হয় ‘দ্য এক্সাইজ অ্যান্ড সল্ট সংশোধন আইন’ নিয়ে, যার মাধ্যমে বিমান টিকিটের আবগারি শুল্কের যৌক্তিকীকরণ করা হবে। এছাড়া, ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধনী) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা জানান, সঠিক তদন্তের জন্য কিছু আলামত বিদেশে পাঠানো হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এটি একটি দুর্ঘটনা ছিল এবং ভবনটির নির্মাণ এবং আগুনের সূত্রপাতের পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
সংস্কারের বিষয় রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি লিখিতভাবে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা জানিয়েছে এবং এখনো আলোচনা চলছে। তবে, সরকারি অবস্থান হলো, সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচনের বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নিবে।
এছাড়া, আওয়ামী লীগ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, সরকারের অবস্থান হলো, শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে এবং সংস্কারের ক্ষেত্রে সব পক্ষের মতামত নেয়া হবে।