রবিবার, ২রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৫| রাত ১১:৫৭

গণভবনে মিলল টিউলিপের প্রচারপত্র, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বন্ধের নোট

প্রতিবেদক
staffreporter
জানুয়ারি ১৩, ২০২৫ ৮:১৯ অপরাহ্ণ
গণভবনে মিলল টিউলিপের প্রচারপত্র, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বন্ধের নোট

গণভবনে মিলল টিউলিপের প্রচারপত্র, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বন্ধের নোট

গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের পর বিক্ষুব্ধ জনতা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে হামলা চালিয়ে লুটপাট শুরু করে।

এসময় গণভবনের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে একটি বিস্ময়কর বিষয় উঠে আসে— যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের প্রচারপত্র। টিউলিপ, যিনি যুক্তরাজ্যে ইকোনমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার মেয়ে এবং তার বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারের দুর্নীতি থেকে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-জনতার ক্ষোভের পর গণভবনে প্রবেশের অনুমতি পায় দ্য টাইমস, যেখানে তারা টিউলিপের প্রচারপত্রসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথি দেখতে পায়। গণভবনে ১৮ একর বাগান, একাধিক কক্ষ এবং একটি লেক ছিল, যেখানে হাসিনা মাছ ধরতেন। এই এলাকা জাতীয় সংসদ ভবনের কাছাকাছি অবস্থিত।

হাসিনার পতনের পর, বিক্ষুব্ধ জনতা গণভবনে লুটপাট চালিয়ে ফার্নিচার, গয়না, শাড়ি, দামি মাছ-মাংসসহ বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে যায়। কিছু জিনিস ফেরত আসলেও, অনেক কিছু ধ্বংসাবশেষে পড়ে থাকে।

এদিকে, গণভবনে একটি নোট পাওয়া গেছে, যাতে একটি ব্রিটিশ ব্যারিস্টারের আইনি পরামর্শ ছিল। এই পরামর্শের বিষয় ছিল— হাসিনার শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার প্রকাশনা বন্ধ করার জন্য আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে। নোটের পাশে পড়ে ছিল বিদেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার আবেদন ফর্মও।

এছাড়া, গণভবনের সিঁড়ির ওপর পাওয়া কিছু ব্যক্তিগত জিনিসের মধ্যে ছিল টিউলিপের ধন্যবাদপত্র, যা তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় স্থানীয় লেবার পার্টি সদস্যদের উদ্দেশে পাঠিয়েছিলেন। অন্যদিকে, তার ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটে পড়া মানুষদের সাহায্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

টিউলিপ বারবার তার খালার শাসন থেকে নিজেকে আলাদা রাখার চেষ্টা করেছেন। ২০১৭ সালে এক ব্রিটিশ সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমরা কখনো রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করিনি।” তবে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে, যেমন— বাংলাদেশের এক ব্যারিস্টার গুম হওয়ার বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া, যেখানে তিনি সাংবাদিককে হুমকি দেন।

সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যে টিউলিপের ফ্ল্যাট বিতর্কও প্রকাশ্যে এসেছে। বলা হচ্ছে, তিনি বা তার পরিবার হাসিনার রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে একাধিক ফ্ল্যাট পেয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশে টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত চলছে এবং তার পদত্যাগের দাবিও উঠেছে।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - সর্বশেষ