মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে একটি গোপন চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে তিনি ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছেন। ট্রাম্প আশা করছেন, ইরান এই প্রস্তাব গ্রহণ করে আলোচনা শুরু করবে, যা উভয় দেশের জন্যই উপকারী হবে।
২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয়, যা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে এবং উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। ট্রাম্পের এই চিঠি পাঠানোর উদ্যোগকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ট্রাম্পের চিঠির বিষয়ে ইরানের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। ইরানে বর্তমানে সাপ্তাহিক ছুটি চলায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি পূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসার বিষয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। কিছু দেশ এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে, অন্যদিকে কিছু দেশ সন্দেহ প্রকাশ করেছে। বিশেষ করে, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে এবং ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে উত্তেজনা প্রশমনে শান্তিপূর্ণ সমাধানে সহায়তার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ট্রাম্পের এই উদ্যোগ সফল হলে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি পাবে এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। তবে, তারা সতর্ক করেছেন যে, উভয় পক্ষের মধ্যে বিশ্বাস ও সমঝোতা প্রতিষ্ঠা করা সহজ হবে না।
ট্রাম্পের খামেনিকে চিঠি দিয়ে আলোচনার প্রস্তাব মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। এখন দেখার বিষয়, ইরান এই প্রস্তাবে কীভাবে সাড়া দেয় এবং উভয় দেশ কূটনৈতিক পথে অগ্রসর হয় কি না।