আমরা সবাই জানি, দই একটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর খাবার। তবে আপনি কি জানেন, মূল খাবারের আগে দই খাওয়ার একটি বিশেষ উপকারিতা রয়েছে? বিশেষ করে যদি তা হয় চিনি ছাড়া টক দই। দইয়ের মধ্যে থাকে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বা প্রোবায়োটিক, যা আমাদের অন্ত্রে বাস করে এবং হজম ও রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
খাবারের আগে দই খেলে এই প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়াগুলো দ্রুত আমাদের পাচনতন্ত্রে পৌঁছে অন্ত্রে একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে। চলুন দেখে নেওয়া যাক, খাবারের আগে দই খাওয়ার কিছু প্রধান উপকারিতা—
উন্নত হজম:
দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক খাবারকে সহজে ভেঙে ফেলতে সাহায্য করে। এর ফলে পেট ফাঁপা, গ্যাস ও হজমজনিত অন্যান্য সমস্যা কমে যায়। তবে মিষ্টি দই নয়, বেছে নিতে হবে টক দই।
পুষ্টি শোষণ বৃদ্ধি:
সুস্থ অন্ত্র খাবার থেকে ভিটামিন ও খনিজ শোষণ করতে বেশি দক্ষ হয়। খাবারের আগে দই খেলে শরীর খাবার থেকে পুষ্টিকর উপাদান আরও ভালোভাবে শোষণ করতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে:
দইয়ের প্রোবায়োটিক ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে, ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বিশেষ করে যাদের পেটের সমস্যা বেশি হয় বা ঘন ঘন সর্দি-কাশিতে ভোগেন, তাদের জন্য এটি উপকারী হতে পারে।
তৃপ্তির অনুভূতি বাড়ায়:
দই প্রোটিনসমৃদ্ধ হওয়ায় খাবারের আগে খেলে তা পেট ভরাট মনে হয়। এতে খাবার কম খাওয়ার প্রবণতা বাড়ে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
কোন দই সবচেয়ে ভালো?
চিনি ছাড়া টক দই-ই সবচেয়ে উপকারী। অতিরিক্ত মিষ্টি দই স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় এবং প্রোবায়োটিকের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে। খাবারের ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা আগে ১৫০–২০০ গ্রাম পরিমাণ দই খাওয়াই যথেষ্ট।
সতর্কতা:
যাদের দুধজাত খাবারে অ্যালার্জি রয়েছে বা যাদের ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতা আছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দই খাওয়া শুরু করবেন না।
সংক্ষেপে, দই শুধু একটি সাইড ডিশ নয়, বরং এটি আপনার হজম, রোগ প্রতিরোধ ও সামগ্রিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে—বিশেষ করে যদি আপনি তা মূল খাবারের আগে খান।