খাগড়াছড়ি হানাদার মুক্ত দিবস। দিনটি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড আয়োজন করেছে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা এবং অন্যান্য কর্মসূচি।
১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের বিতাড়িত করে খাগড়াছড়ি শহরকে মুক্ত করা হয়। এর একদিন আগে, ১৪ ডিসেম্বর, ভাইবোনছড়া প্রতিরক্ষা ঘাঁটি থেকে মুক্তিযোদ্ধারা সংঘবদ্ধভাবে খাগড়াছড়ি সদর অভিমুখে অগ্রসর হন।
গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ ও বিজয়ের মুহূর্ত
মুক্তিযোদ্ধা ফিলিপ বিজয় ত্রিপুরা জানান, ১৪ ডিসেম্বর পানছড়ির ভাইবোনছড়ায় গাছবান কুকিছড়া এলাকায় মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনী ও তাদের দোসর মিজোদের সঙ্গে তীব্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়। সেই যুদ্ধে টিকতে না পেরে মিজোরা পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। এর মাধ্যমে খাগড়াছড়ি এবং আশপাশের এলাকা পাকবাহিনী মুক্ত হয়।
স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন
১৫ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় খাগড়াছড়ির তৎকালীন ‘এসডিও অফিস’-এর সর্বোচ্চ স্থানে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক দোস্ত মোহাম্মদ চৌধুরী এই পতাকা উত্তোলন করেন। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গ্রুপ কমান্ডার অশোক চৌধুরী বাবুল, মংসাথোয়াই চৌধুরী, জুলু মারমাসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধারা।
দিনটি খাগড়াছড়ির মানুষের কাছে স্বাধীনতার এক গৌরবময় ইতিহাস হিসেবে চিরস্মরণীয়।