চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডে গভীর শোক প্রকাশ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। তারা দ্রুত এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। পাশাপাশি দেশবাসীকে কোনো প্রকার উসকানিতে পা না দিয়ে ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম এবং সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এ আহ্বান জানান। বিবৃতিতে নেতারা বলেন, “বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। যুগ যুগ ধরে হিন্দু-মুসলিমসহ সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে এখানে বসবাস করে আসছে। তবে এই স্থিতিশীলতা নষ্ট করার ষড়যন্ত্র দীর্ঘদিন ধরে চলছে। বিশেষ করে গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ করতে এবং দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলতে একটি ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পুনর্বাসন করতে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকন ধারাবাহিকভাবে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “সম্প্রতি ইসকনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে দেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। এর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। শুধু তাই নয়, আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থিত মসজিদেও হামলা চালিয়ে দেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের পরিবেশকে চরমভাবে আঘাত করা হয়েছে। আমরা এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই।”
শিবির নেতারা বলেন, “ইসকন সন্ত্রাসীদের এই হামলা শুধু একটি নিরপরাধ প্রাণ কেড়ে নেয়নি, বরং দেশের বিচারব্যবস্থা, আইনের শাসন এবং দীর্ঘদিনের ধর্মীয় সহাবস্থানের পরিবেশ নষ্ট করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, ইসকন কোনো ধর্মীয় সংগঠন নয় এবং তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে না। তাদের কর্মকাণ্ড দেশবিরোধী এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডেরই অংশ। আজকের হত্যাকাণ্ড তার একটি ন্যক্কারজনক উদাহরণ।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “আমরা আলিফ হত্যার সঙ্গে জড়িত সব সন্ত্রাসীকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। একই সঙ্গে এ ধরনের দেশবিরোধী কর্মকাণ্ড বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।”
শেষে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীসহ দেশবাসীকে কোনো প্রকার উসকানিতে পা না দিয়ে ধৈর্য সহকারে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার আহ্বান জানানো হয়।