চট্টগ্রামের কোরিয়ান এক্সপোর্ট প্রোসেসিং জোনের (কেইপিজেড) ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইয়ংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও সিইও কিহাক সাং। ১৬ ফেব্রুয়ারি, রবিবার, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি এই ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এর উত্তরে লুৎফে সিদ্দিকীও কিহাক সাংকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি চিঠি পাঠান। এছাড়া বিডা ও বেজার পক্ষ থেকেও এক চিঠিতে ইয়ংওয়ান করপোরেশনের সিইওকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
কিহাক সাং তার চিঠিতে বলেন, "গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে আমি জানাচ্ছি, ৬ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং কেইপিজেডের মধ্যে জমির মিউটেশন দলিল সম্পাদনের বিষয়টি জানার পর, ওই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত কাজটি সফল করার জন্য আমাদের দলকে ধন্যবাদ জানাই।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, "এ ব্যাপারে আপনার ব্যক্তিগত, তাৎক্ষণিক ও অবিচল সমর্থন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং জনগণের সমৃদ্ধিতে আমাদের আত্মবিশ্বাস ও সংকল্পকে পুনরায় জাগ্রত করেছে।"
লুৎফে সিদ্দিকী চিঠিতে কিহাক সাংকে তার প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, "আমরা সরকারের উদ্যোগের ফলে পরিষেবার ধাপগুলো আরও নির্ভরযোগ্য, সময়-সীমাবদ্ধ এবং প্রতিযোগিতামূলক করতে আগ্রহী হয়ে উঠছি।"
উল্লেখ্য, ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়া সরকারের মধ্যে কেইপিজেড স্থাপনের চুক্তি হয় এবং ১৯৯৯ সালে চট্টগ্রামের আনোয়ারায় জমি বরাদ্দ করা হয়। তবে জমি নিবন্ধন ও নামজারি না হওয়ায় অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী এখানে বিনিয়োগ করতে পারছিলেন না। ১৪ জানুয়ারি, রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইয়ংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংসহ শীর্ষ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে কোরিয়ান ইপিজেডের জমি সমস্যার সমাধান ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।