মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে কুয়ালালামপুরের বুকিত বিনতাং এলাকা থেকে ৭১ বাংলাদেশিসহ মোট ১৭৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ। এই অভিযানটি গত সপ্তাহে পরিচালিত হয়, যেখানে বাংলাদেশি নাগরিকদের পাশাপাশি মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, পাকিস্তান, মিসর ও সুদানের নাগরিকও গ্রেপ্তার হয়েছেন।
ইমিগ্রেশন পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন দীর্ঘ সময় ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন এবং তাদের কাছে বৈধ ভ্রমণ নথি ছিল না। বিষয়টি সম্পর্কে অভিযোগ পাওয়ার পর ইমিগ্রেশন বিভাগের সদস্যরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন, যার ফলস্বরূপ এই বড়সড় গ্রেপ্তার অভিযানটি সম্ভব হয়।
কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক ওয়ান সাউপি ওয়ান ইউসুফ জানিয়েছেন, "অবৈধভাবে অবস্থান করা এবং বৈধ ভ্রমণ নথি না থাকা এই গ্রেপ্তারের মূল কারণ। এই অভিযানের মাধ্যমে আমরা অবৈধ অভিবাসন বন্ধে গুরুত্বপূৰ্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছি।" তিনি আরও বলেন, এই ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলবে, যাতে অবৈধ অভিবাসনকারী এবং শিরস্ত্রাণহীন বিদেশিরা দেশটিতে প্রবেশ না করতে পারে।
অভিযানের সময়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বেশ কিছু ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করছিলেন, তবে তাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষ মালয়েশিয়ায় নিয়মিতভাবে কাজ করতে আসলেও তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছিল। অভিযানে ধরা পড়া ব্যক্তিরা বর্তমানে কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশনের সদর দপ্তরে আটক রয়েছেন, এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান।
উল্লেখযোগ্য যে, মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসন একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং দেশটি সরকার গত কয়েক বছরে এ সমস্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বিশেষ করে, মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন পুলিশ দেশজুড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী বিদেশিদের বিরুদ্ধে অভিযানে যুক্ত রয়েছে এবং তারা অবৈধ অভিবাসন নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
এদিকে, গ্রেপ্তারকৃতদের আইনগত প্রক্রিয়ায় বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যাদের বিরুদ্ধে কোনো আইন ভাঙার অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হতে পারে, যা মালয়েশিয়ায় আইনি শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়ক হবে।
এই গ্রেপ্তার অভিযানটি মালয়েশিয়ায় অবৈধ অভিবাসন রোধে সরকারের দৃঢ় অবস্থান এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।