মঙ্গলবার, ১লা জুলাই, ২০২৫| সকাল ৯:১৩

কার্বন নিঃসরণে দায় না নিয়েও ভয়াবহ ভুক্তভোগী বাংলাদেশ: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

প্রতিবেদক
staffreporter
জুন ২৫, ২০২৫ ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ
কার্বন নিঃসরণে দায় না নিয়েও ভয়াবহ ভুক্তভোগী বাংলাদেশ: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

কার্বন নিঃসরণে দায় না নিয়েও ভয়াবহ ভুক্তভোগী বাংলাদেশ: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার

বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের মারাত্মক শিকার হলেও বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণে দেশের ভূমিকা নগণ্য—এই সত্য আবারও তুলে ধরেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। মঙ্গলবার ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের থ্রিডি হল রুমে আয়োজিত এক যাচাইকরণ কর্মশালায় তিনি বলেন, “বিশ্বের ধনী দেশগুলো যেখানে বিপুল পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত করছে, সেখানে বাংলাদেশকে এর ভয়াবহ প্রভাব বহন করতে হচ্ছে। অথচ আমাদের মোট অবদান মাত্র ০.৪ শতাংশ।”

দুধ ও গরু পালন কার্যক্রম সংক্রান্ত তথ্য এবং আইপিসিসির টায়ার-২ ভিত্তিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন পরিমাপ—লাইভস্টক অ্যান্ড ডেইরি ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এলডিডিপি) হস্তক্ষেপের প্রভাব’ শীর্ষক কর্মশালাটিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফরিদা আখতার আরও বলেন, উন্নত দেশগুলো বহুবার অর্থ ও কারিগরি সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়নে চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এ অবস্থায় নিজেদের সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, “প্রাণিসম্পদ খাত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এই খাতের মাধ্যমেই আগামী দিনে আন্তর্জাতিক পরিসরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্ব করবে। বিশ্বের তুলনায় বাংলাদেশের প্রাণিসম্পদ খাতে নিঃসৃত গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ খুবই কম।”

তিনি প্রাণিসম্পদ খাতে গবেষণা ও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “প্রোটিনের উৎস হিসেবে মাংস অপরিহার্য। কিন্তু মাংস উৎপাদনের সাথে যে মিথেন গ্যাস নির্গমন ঘটে, তা কমাতে আমাদের প্রযুক্তিগত ও গবেষণাভিত্তিক প্রস্তুতি নিতে হবে।” মাঠপর্যায়ের সঠিক তথ্য ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাস্তবভিত্তিক সমাধানের ওপরও জোর দেন তিনি।

কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো: আবু সুফিয়ান। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) প্রতিনিধি জিয়াওচুন শি এবং বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র কৃষি অর্থনীতিবিদ আমাদু বা। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

এ সময় প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন কর্মশালার স্বাগত বক্তব্য দেন এবং প্রকল্পের উদ্দেশ্য, সাফল্য ও ফলাফলের চিত্র তুলে ধরেন চীফ টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর ড. মো. গোলাম রব্বানী।

কর্মশালাটি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, জাতিসংঘের FAO ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়।

মন্তব্য করুন
Spread the love

সর্বশেষ - বানিজ্য ও অর্থনীতি