কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রে যোগদানের শর্তে ‘গোল্ডেন ডোম’ বিনামূল্যে দেওয়ার প্রস্তাব ট্রাম্পের

প্রতিবেশী কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এবার নতুন এক প্রস্তাব দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রে যুক্ত হতে রাজি হয়, তবে তাদের ‘গোল্ডেন ডোম’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা সিস্টেম বিনামূল্যে দেওয়া হবে। অন্যথায়, এই প্রতিরক্ষা সিস্টেম পেতে কানাডাকে খরচ করতে হবে ৬ হাজার ১০০ কোটি মার্কিন ডলার।

বুধবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এক বার্তায় ট্রাম্প এই প্রস্তাব দেন। সেখানে তিনি দাবি করেন, কানাডা এই প্রতিরক্ষা সিস্টেম পেতে আগ্রহী এবং বিষয়টি ‘বিবেচনায়’ রেখেছে।

‘গোল্ডেন ডোম’ যুক্তরাষ্ট্রের নবউদ্বোধনকৃত সর্বাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ড ছাড়াও আশপাশের বিস্তৃত অঞ্চলকে নিরাপত্তা দিতে সক্ষম। গত সপ্তাহেই ট্রাম্প এই সিস্টেমের উদ্বোধন করেন এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর জন্য অর্থের বিনিময়ে এটি উন্মুক্ত রাখার ঘোষণা দেন।

ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যাল পোস্টে বলেন, “গোল্ডেন ডোম একটি অসাধারণ সিস্টেম এবং কানাডা এটি পেতে চায়। আমি বলেছি, যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হয়, তবে বিনামূল্যে পাবে; না হলে খরচ করতে হবে বিপুল অর্থ।”

এএফপি জানায়, ট্রাম্পের এই প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে কানাডার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউ তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর ট্রাম্প প্রথমবার কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বানানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই সময় তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মানচিত্র পোস্ট করেন, যেখানে কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত অংশ হিসেবে দেখানো হয়। পরবর্তীতে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তর্ভুক্ত করতে তিনি অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করবেন।

তবে কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ট্রাম্পের প্রস্তাব ও হুমকিকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “কানাডা কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হবে না।”

উল্লেখযোগ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা উত্তর আমেরিকান আকাশ প্রতিরক্ষা চুক্তি (নোরাড)-এর অংশীদার। এই চুক্তি অনুসারে, কোনো একটি রাষ্ট্রে হামলা হলে অপরটি নিঃশর্তভাবে পাশে থাকবে। তবে ট্রাম্পের শাসনামলে দুই দেশের সম্পর্ক অনেকটাই বদলে গেছে, যা এখন কানাডার জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র: এএফপি