বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হলো। ১৯৭২ সালের ৪ মে থেকে তাঁকে জাতীয় কবি ঘোষণা করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সম্প্রতি উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ বিষয়ে প্রস্তাব অনুমোদিত হওয়ার পর এটি গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে বহু আগে থেকেই জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তবে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা না হওয়ায় বহুদিন ধরে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি ছিল। ১৯৭২ সালে কলকাতা থেকে ঢাকায় সপরিবারে আনার পর থেকেই তাঁকে জাতীয় কবি হিসেবে গণ্য করা হচ্ছিল।
কাজী নজরুল ইসলামের বাংলাদেশের সাথে সংযুক্তির সূচনা ১৯৭২ সালের ২৪ মে, যখন তাঁকে সরকারি উদ্যোগে সপরিবারে ঢাকায় আনা হয়। তিনি ধানমন্ডির একটি বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সরকার তাঁকে নাগরিকত্ব প্রদান করে। একই বছর তাঁকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।
১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কাজী নজরুল ইসলামকে সম্মানসূচক ডি-লিট উপাধি প্রদান করে। অসুস্থতার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে না পারলেও ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি বঙ্গভবনে বিশেষ এক অনুষ্ঠানে তাঁকে এ সম্মান প্রদান করা হয়।
কাজী নজরুল ইসলাম শুধু জাতীয় কবি নন, তিনি বিদ্রোহ, সাম্য, ও মানবতার কবি। তাঁর সাহিত্যকর্ম স্বাধীনতা ও সংগ্রামের প্রেরণার উৎস। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকায় তিনি ইন্তেকাল করেন। তাঁর প্রতি রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে এই স্বীকৃতি জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করেছে।